কলিন টেন্যান্ট, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানাইন রিসার্চ অব ফেলিনি বিহেভিয়্যার এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন,
“মানুষ যেমন কোন ঘরে ঢোকার পর তার ভেতর কি আছে, তা দেখতে পছন করে, কুকুরও ঠিক তেমন। তবে পার্থক্য হচ্ছে মানুষ কোন কিছু পরখ করতে তার হাত ব্যবহার করে, কুকুর তা পারে না। সে তার মুখের ব্যবহার করে। এজন্য সবকিছু কুকুর মুখে নিয়ে চিবুতে শুরু করে।”
টেন্যান্ট প্রায় ৩০ বছর ধরে কুকুরের এমন ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি বলছেন, মাঝে মাঝে কুকুরের মনস্তত্ত্বে এমন ধরনের পরিবর্তন আসে যে এটি হিংস্র হয়ে ওঠে। এছাড়াও ঘরের পোষা কুকুরকে যদি একাকী অনেকদিন ফেলে রাখা হয়, তাহলে এটির আচার আচরণে নানা ধরনের বিরুপ ভাব দেখা যায়।
কুকুর সংঘবদ্ধ হয়ে থাকতে পছন্দ করে। এটিকে একাকী ফেলে রেখে যাওয়া হলে তা পছন্দ করে না। দলের সদস্যরা যদি কাউকে একাকী ফেলে রেখে চলে যায়, তাহলে ঐ সদস্যের মাঝে চারিত্রিক যেমন পরিবর্তন আসে, একটি কুকুরের মাঝেও ঠিক তাই। আবেগ কিংবা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সামনে যা পায়, তাই এটি চিবুতে শুরু করে।
“কুকুর গন্ধ শুঁকতে পছন্দ করে। এছাড়াও কোন বস্তুর গন্ধ কিঙ্গা স্বাদ কেমন, এটি সে মুখে নিয়ে পরখ করে দেখতে চায়। মালিক যখন বাড়িতে জুতা বা চপ্পল রেখে যায়, তখন কুকুর সেটি মুখে নিয়ে চিবুতে শুরু করে। কারণ, জুতার গন্ধ অনেক তীব্র,” টেন্যান্ট বলেন।
আরো একটি চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, জুতো চামড়ার তৈরি। ঘরে পোষা কুকুর যখন চামড়ার জুতো চিবুতে শুরু করে, তখন এর মাঝে পশুবৃত্তিক মনোভাব প্রবলভাবে জাগ্রত হয়। টেন্যান্টের মতে, ঘরের পোষা কুকুরকে ট্রেইনিং-এর মাধ্যমে শেখানো উচিত, কোনটা তার মুখে দেয়া উচিত, কোনটা নয়।
ইন্টারনেটে মানুষের দেখা অনেকগুলো ভুল তথ্যের মধ্যে একটি হলো, ঘরের পোষা কুকুরকে খেলার জন্য প্লাস্টিকের খেলনা কিনে দেয়া উচিত। এটি খুবই ভুল একটি ধারণা। কুকুর প্লাটিকের গন্ধ পছন্দ করে না এবং এটি তা মুখে দিতে কোন ধরনের আগ্রহই পায় না। তবে জুতোর কথা আলাদা। জুতোর সাথে প্লাস্টিকের কোন তুলনাই হয় না।
ক্রেডিট: লাইভ সায়েন্স