পানি বর্ণহীন হওয়া সত্ত্বেও এই পানিই যখন বাষ্প হয়ে মেঘ হয়, সেই মেঘ আমরা সাদা দেখি কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+15 টি ভোট
659 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (71,000 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (71,000 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim -যাবতীয় জলের উৎস (যেমন– সমুদ্র, নদী, পুকুর, খাল-বিল ইত্যাদি) সবই এই পৃথিবীপৃষ্ঠে, তাই স্বাভাবিক ভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুতে উপরের বায়ুর তুলনায় একটু বেশি জলীয় বাষ্প থাকে। আবার আমরা জানি, সূর্যরশ্মি ভূপৃষ্ঠে প্রতিফলিত হয়ে প্রথমে পৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুকে উত্তপ্ত করে, তাই ভূ-পৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ু উপরের বায়ুর তুলনায় একটু বেশি গরম থাকে। অর্থাৎ, পৃষ্ঠসংলগ্ন জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু বেশি উষ্ণ হয়।

এই "উষ্ণ জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু" উপরের বায়ুর থেকে তুলনামূলকভাবে হালকা হওয়ায় উপরের দিকে উঠতে থাকে (ঠিক যেমনটা একটি হিলিয়াম গ্যাস ভর্তি বেলুনকে ছেড়ে দিলে উপরে উঠে)। এই উষ্ণ বায়ু যত উপরের দিকে উঠে ততই এর তাপমাত্রা কমতে থাকে (কারণ ,উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে তাপমাত্রা হ্রাস পায়) এবং এর মধ্যে বায়ুর চাপও কমতে থাকে। (কারণ, উপরে উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে বায়ুমণ্ডলের চাপ হ্রাস পায়, তাই পারিপার্শ্বিক বায়ু চাপের সাথে সাম্যাবস্থায় আসতে ওই "উষ্ণ জলীয়বাষ্পপূর্ণ" বায়ুরও চাপ কমে যেতে থাকে। চাপ কমে যাওয়ার জন্য "ওই বায়ু" তার মধ্যস্ত জলীয় বাষ্পকে আর ধরে রাখতে পারে না, ওই জলীয়বাষ্প তখন খুব ছোট ছোট জলকণা বা বরফকনাতে পৃথক হয়ে পড়ে(জলীয়বাষ্প থেকে জলকণা বা বরফকনায় পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াটিকে ঘনীভবন বলে,এই প্রক্রিয়ায় জলীয়বাষ্প আকাশে ভাসমান বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধূলিকণার উপর ঘনীভূত হয়)। এগুলি এতই ছোট ও হালকা যে এদের উপর gravity এর প্রভাব নগন্য। তাই এরা আকাশেই ভেসে বেড়াতে থাকে। এরকম অসংখ্য জলকণা বা বরফ কনা একসঙ্গে আকাশে মেঘ (cloud) হিসেবে ভেসে বেড়ায়।

মেঘ সাদা হওয়ার কারণ নিহিত আছে আলোকরশ্মির একটি বিশেষ ধর্ম "বিক্ষেপন" বা "scaterring" এর মধ্যে। উপরিউক্ত "জলকণা বা বরফকণা" গুলি আকারে "বায়ুতে উপস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থের অণুগুলি"-এর থেকে তুলনামূলক ভাবে বড় হয়। তাই এরা সূর্য থেকে আগত আলোকরশ্মিতে উপস্থিত "সমস্ত তরঙ্গদৈর্ঘের" আলোকে বিক্ষিপ্ত করে, তাই সাতটি বর্ণের সম্মিলিত রূপ হিসেবে আমরা মেঘকে সাদা তুলোর মত দেখতে পাই । (আমরা জানি, সাতটি মৌলিক বর্ন যোগ হয়ে সাদা "রং" দেখায়। নিউটন prism এর দ্বারা ভেঙে দেখিয়েছিলেন যে সাদা বর্ণ সাতটি বর্ণ, যথা- বেগুনি, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল , এর সমষ্টি।
0 টি ভোট
করেছেন (220 পয়েন্ট)
পানি স্বচ্ছ আমরা জানি আবার পানির ঘনত্ব বেশি বলে তা আলো প্রতিসরণ করে তাও আমরা জানি। মেঘ হলো মূলত অসংখ্য পানির ফুটা যার প্রত্যেকে আগত আলোকে প্রতিসরিত করে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয় একে আলোর বিচ্ছুরণ (diffusion) bole । এর ফলে মেঘ সাদা দেখায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+9 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,526 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 335 বার দেখা হয়েছে
+11 টি ভোট
2 টি উত্তর 525 বার দেখা হয়েছে

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,774 জন সদস্য

58 জন অনলাইনে রয়েছে
4 জন সদস্য এবং 54 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. CathrynA0238

    100 পয়েন্ট

  2. অরুণাভ চৌধুরী

    100 পয়েন্ট

  3. DeneenEllis

    100 পয়েন্ট

  4. GeraldEdmund

    100 পয়েন্ট

  5. FilomenaEmbl

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...