জননকোষ এবং দেহকোষ শব্দ দুটি শুনলেই তাদের অবস্থান ও কাজ বোঝা যায়। প্রজননের যে সাহায্য করে যে কোষ তাকে জনন কোষ এবং দেহ গঠনে যে কোষ অংশগ্রহণ করেন তাকে দেহ কোষ বলে।
পিতার শুক্রাণু এবং মায়ের ডিম্বাণু নিষেকের মাধ্যমে (অর্থাৎ মিলিত হওয়ার মাধ্যমে। শুক্রাণু এবং ডিম্বানু হল জনন কোষ।) জাইগোট কোষ গঠন করেন । এই জাইগোট কোষ বারবার মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে দেহ তৈরি করে এবং একপর্যায়ে দেহ থেকেই জনন কোষের উৎপত্তি হয়।
মানবদেহের সাধারণত কাজের ভিত্তিতে কোষকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। এই দুটি হল: জনন কোষ এবং দেহ কোষ।
দেহ কোষের বৈশিষ্ট্য:
১. দেহ গঠনে অংশ নেয়।
২. মাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভাজিত হয়।
৩. দেহের বিভিন্ন অঙ্গ গঠনে অংশ নেয়।
জনন কোষের বৈশিষ্ট্য:
১. প্রজননে সাহায্য করে।
২. মিয়োসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভাজিত হয়।
৩. বংশ-পরম্পরা টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এদের মাঝে বহু পার্থক্য আছে। জনন কোষ এবং দেহ কোষ এক নয়, দুটি আলাদা কোষ ও এদের কাজের ক্ষেত্রও ভিন্ন।