পৃথিবীর সমস্ত চিল আর ঈগল একই পরিবারের, যার নাম অ্যাকসিপিটরিডী (Accipitridae)।
তাদের মূল পার্থক্য তাদের উপপরিবারের। অ্যাকসিপিটরিডী তেরোটা উপপরিবার বা Sub-family নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে শুধু চিল আর ঈগলই না, আছে বাজা, বাজার্ড, হ্যারিয়ার বা কাপাসি, হক বা শিকরেপাখি এরাও।
ট্যাক্সোনোমির পার্থক্য ছাড়াও গঠণগত দিকেও রয়েছে পার্থক্য। অধিকাংশ ঈগলই চিলের চাইতে আকারে বড়, শক্তসামর্থ্য, তুলনামূলক অনেক মোটা আর শক্তিশালী পা আর মোটা চঞ্চুর অধিকারী হয়। ওদের ফ্লাইট রেঞ্জও উচু হয় অনেকসময়। তবে কিছু ঈগল চিলের আকারেরো হয়। যেমন Booted Eagle, Indian Spotted Eagle ইত্যাদি। এদের শীতে আমাদের দেশেও দেখা যায়।
পক্ষান্তরে চিলেরা তুলনামূলক ছোট গড়ণের হয়। পা চিকন আর কম শক্তিশালী হয়। সব ঈগল শিকারী হলেও সব চিল শিকারী হয়না। আমাদের দেশে যে তিন প্রজাতির চিল দেখা যায়, ভূবন চিল (Black Kite), শঙ্খচিল (Brahminy Kite) আর কাটুয়াচিল (Black-winged Kite) এদের মধ্যে ভূবনচিলই সংখ্যায় অনেক অনেক বেশি আর এরা মোটেও শিকারী না। এদের পা আর থাবার দূর্বল এবং এরা উচ্ছিষ্টভোজী। তাই ময়লার ভাগারের আশেপাশে এদের খুব দেখা যায়।
পক্ষান্তরে শঙ্খচিল শিকারী আর মূলত মাছ খায় আর কাটুয়াচিল ইদুর, ছুচো, সাপ এসব খায় আর আকারেও চিলের চাইতে অনেক ছোট।
@Muhammad Shahed Raiyan
Team Science Bee