ছত্রাকের অঙ্গজ জনন:
যেকোনো ছত্রাকের অঙ্গজ জনন প্রক্রিয়ায় তার মাইসেলিয়াম থেকে নতুন ছত্রাকের উৎপত্তি হয়। হাইফার কোষগুলো ভেঙে গিয়ে প্রত্যেকটা কোষ নতুন হাইফা তৈরি করতে পারে। আবার অনেক সময় কুঁড়ি বা bud তৈরি হয়। কুঁড়ি তৈরির সময় একটা কোষ থেকে বাড়তি অংশ তৈরি হয়। এরপর নিউক্লিয়াস বিভাজিত হয়ে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। দুইটি নিউক্লিয়াসের একটি সেই বাড়তি অংশে প্রবেশ করে এবং নতুন কোষ গঠন করে। এরা স্ক্লেরোশিয়াম নামক একটা শক্ত অংশ গঠন করতে পারে। হাইফাগুলো একসাথে মিলে চারপাশে একটা কালচে শক্ত আবরণ তৈরি করে। সেটাকে বলা হয় স্ক্লেরোশিয়াম।
আরেকটু বিস্তারিতভাবে জেনে আসা যাক-
দেহাঙ্গের মাধ্যমে অঙ্গজ জনন হয়। নিম্নলিখিত উপায়ে ছত্রাকের অঙ্গজ জনন হয়ে থাকে।
১) দৈহিক খণ্ডায়নঃ ছত্রাক দেহটি একাধিক খণ্ডে বিভক্ত হয় এবং প্রতিটি খন্ড একেকটি স্বতন্ত্র ছত্রাক দেহ গঠন করে। যেমনঃ Rhizopus, Penicillium
২) দ্বি-বিভাজনঃ দৈহিক কোষটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় দু’টি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে এবং প্রতিটি অপত্য কোষ একটি স্বতন্ত্র ছত্রাক কোষে পরিণত হয়। ঈস্ট ছত্রাকে এরূপ দেখা যায়।
৩) কুঁড়ি সৃষ্টিঃ কোনো কোনো ছত্রাকের দেহ থেকে কুঁড়ি সৃষ্টি হয় এবং কুঁড়িটি পৃথক হয়ে একটি স্বতন্ত্র ছত্রাকের সৃষ্টি করে। ঈস্ট ছত্রাকে এরূপ দেখা যায়।