দেহের মধ্যরেখীয় তলের দুই পাশে সমান ও সদৃশ অংশের অবস্থানকে বোঝায় প্রতিসাম্য। প্রাণীর প্রতিসাম্য ৪ ধরণের।
যথা:
১. গোলীয় প্রতিসাম্য: একটি গোলককে তার কেন্দ্র বরাবর যে কোন তলে সমান অংশে ভাগ করা যায়, তেমনি ভাবে প্রাণীদেহকে ভাগ করা গেলে তাকে গোলীয় প্রতিসাম্যতা বলে।
যেমন: Volvox, Radiolaria, Heliozoa
২. অরীয় প্রতিসাম্য: কোন প্রাণীর দেহকে তার অনুদৈর্ঘ্য অক্ষ বরাবর বা অরীয়ভাবে যে কোন তলে ছেদ করে দুটি বা ততোধিক সমান অংশে ভাগ করা যায়, তাকে অরীয় প্রতিসাম্য প্রাণী বলে।
যেমন: Hydra, Aurelia (জেলিফিস)
৩. দ্বিপার্শ্বীয় প্রতিসাম্য: যখন কোন প্রাণীকে তার দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর মাত্র একবার দুটি সদৃশ ও সমান অংশে ভাগ করা যায়, তখন তাকে দ্বি-পার্শ্বীয় প্রতিসাম্য প্রাণী বলে।
যেমন: Homo sapiens (মানুষ), Hoplobatrachus tigerinus (ব্যাঙ)
৪. দ্বিঅরীয় প্রতিসাম্য: কোন প্রাণীদেহে যখন কোন অঙ্গের সংখ্যা এক বা একাধিক হওয়ায় অনুদৈর্ঘ্য অক্ষ বরাবর শুধু দুটি তল পরস্পরের সমকোণের ফলে ঐ প্রাণীদের দেহ কে ৪ টি সদৃশ অংশে বিভক্ত করা যায়। এই সকল প্রাণীদের কে দ্বিঅরীয় প্রতিসাম্য প্রাণী বলে।
যেমন: Ctenophora
অপ্রতিসাম্য: যখন কোন প্রাণীর দেহকে ছেদ করলে সমান দুটি অংশে ভাগ করা যায় না তাকে অপ্রতিসাম্য বলে।মযেমন: Cliona celata(স্পঞ্জ), Pila globosa (শামুক)