নতুন মৌল আবিষ্কার করাটা আসলে যতটা সহজ মনে করা অয় আসলে তা না। এর জন্য অনেক গবেষণার দরকার হয়।
বিজ্ঞানীরা মৌল আবিষ্কারের জন্য নানা পদ্ধতি অনুসরণ করেন। যেমনঃ
- আণবিক সংখ্যা বাড়িয়ে
- প্রাকৃতিকভাবে
- বর্ণালী বীক্ষণ
- তেজস্ক্রিয় বিকিরণ
- দুটি অণুর সংঘর্ষ ঘটিয়ে
- পারমাণবিক চুল্লিতে
- তড়িতচৌম্বক ক্ষেত্রে কণার গতি বাড়িয়ে ইত্যাদি।
এদের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া মৌলগুলোই বেশি ব্যবহার করা হয়। সর্বশেষ যে প্রাকৃতিক মৌল বাস্তবিকভাবেই ব্যবহার করা হয় তা ফ্রান্সিয়াম, ১৯১৩ সালে আবিষ্কার হয়। আর সবশেষ ১৯৩৯ সালে হাফনিয়াম প্রাকৃতিক মৌল হিসেবে আবিষ্কার হয়। এর পর থেকে যেগুলো নতুন এসেছে তা সবই কৃত্রিম উপায়ে তৈরি।
মার্কারী-অক্সাইডকে একটি জারে তাপ দিয়ে অক্সিজেন প্রথম তৈরি করা হয়।
স্যার ডেভি কিছুক্ষণ পর গলিত পটাশ থেকে পটাসিয়াম আবিষ্কার করেন
সূর্যের বর্ণালী রেখার বিকিরণ থেকে হিলিয়াম আবিষ্কার হয়
কিছু প্রাকৃতিক মৌল যেমন- রুবিডিয়াম বুন্সেন বার্ণারে বিশেষ বর্ণ দেখায়,তা থেকে সনাক্ত করা হয়েছিল।
কৃত্রিমভাবে তৈরিকৃত মৌলগুলো আবার খুবই ক্ষণস্থায়ী হয়। তাই আসলেই এসব বাণিজ্যিক/ব্যবহারিকভাবে তেমন ব্যবহার করা যায় না। ১৯৫০ সালে সবশেষ ক্যালিফর্নিয়াম নামের মৌল বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয় তাও তেজস্ক্রিয় পদার্থ হিসেবে।
২০১৬ সালে সবশেষ ৪টি নতুন মৌল আবিষ্কার করা হয়। এ পর্যন্ত ১১৮টি মৌল পর্যায় সারণীতে আছে। বর্তমানে ১১৯ নম্বর মৌলের সন্ধানে গবেষণা চলছে।
কোন মৌল কত সালে আবিষ্কার হয় তা আরও বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়ার ‘Timeline of Chemical Element Discoveries” পেজ এ ঘুরে আসতে পারেন।
ধন্যবাদ।
সূত্রঃ উইকি,কোরা,সায়েন্স টাইম, গুগল।