এই অলিগোস্যাকারাইড থ্রিয়োনিন বা সিরিন নামক অ্যামাইনো এসিডের সাথে যুক্ত থাকে। এই অলিগোস্যাকারাইডের উৎপাদন প্রক্রিয়া গলজি বডিতে চলে। কোষের উপরিভাগের প্রোটিন এই ধরনের অলিগোস্যাকারাইডের উদাহরণ। এক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো, অ্যামিনো গ্রুপের সাথে যুক্ত থাকলে N- oligosaccharide আর অক্সিজেনের সাথে যুক্ত থাকলে O- oliosaccharide বলা হয়ে থাকে।
এই ধরনের অলিগোস্যাকারাইডের অন্যতম কাজ রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা। এবিও গ্রুপিং সিস্টেমে তিন ধরনের এন্টিজেন (এক ধরনের বস্তু যেটা শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সচল করে, যেমন ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশের ফলে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রেস্পন্স বা সাড়া পাওয়া যায়। এন্টিজেন যে শুধু অণুজীব হতে হবে, এমন না কিন্তু!) থাকে, A, B ও H। H এন্টিজেন হচ্ছে A ও B এন্টিজেন তৈরির মূল ভিত্তি। A বা B এন্টিজেন তৈরি হতে হলে আগে H এন্টিজেন তৈরি হতে হয়। এরপর এর গঠনের বৈচিত্র্য এর উপর ভিত্তি করে এটি A নাকি B হবে তা নির্ধারণ করা হয়।
রক্তের গ্রুপ A হতে হলে A ও H; B হতে হলে B ও H এবং O হতে হলে শুধু H এন্টিজেন থাকতে হয়। ও গ্রুপিংটা মূলত মিউটেশন, যেখানে H এন্টিজেন পরবর্তীতে A বা B হওয়ার আগেই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যায়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি গ্লাইকোসাইল ট্রান্সফারেজ নামক এনজাইম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তিন গ্রুপের জন্য দুই ধরনের এনজাইম, কেননা O গ্রুপের জন্য কোন এনজাইম লাগে না।
A বা B গ্রুপের হওয়ার জন্য একটি এক্সট্রা মনোস্যাকারাইডের প্রয়োজন হয়, যেটা এই এনজাইম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। A গ্রুপের জন্য N-এসিটাইলগ্যালাকটোসামিন এবং B গ্রুপের জন্য গ্যালাকটোজের দরকার।
সুতরাং, গ্রুপিং এ অলিগোস্যাকারাইড প্রয়োজন।
এছাড়া কোষের কোন কিছুর সাথে সংযুক্ত হওয়া বা আটকে থাকার জন্যেও অলিগোস্যাকারাইড দরকার।