গ্রিক ‘oligo’ শব্দটির মানে হচ্ছে ‘অল্প সংখ্যক’। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, এই ধরনের কার্বোহাইড্রেট এ স্বল্প সংখ্যক মনোস্যাকারাইড থাকবে। কিন্তু এরা থাকবে বন্ধনে যুক্ত। বন্ধনটি হচ্ছে গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন। এর মাধ্যমে ২-১০ টি মনোস্যাকারাইড পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে অলিগোস্যাকারাইড তৈরি করে।
এনোমারিক কার্বনের সাথে হাইড্রক্সিল গ্রুপের অক্সিজেন যুক্ত হয়ে গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন গঠিত হয়।
বন্ধন হয় দুইটি মনোস্যাকারাইডের মাঝে। দুইটিরই কিন্তু এনোমারিক কার্বন আছে। এখন বন্ধন গঠনে যদি দুইটি মনোস্যাকারাইডেরই এনোমারিক কার্বন অংশ নেয়, তাহলে সেটি হবে নন-রিডিউসিং। কারণ সেক্ষেত্রে বিক্রিয়াস্থল খালি থাকে না। যদি একটি এনোমারিক কার্বন বিক্রিয়ায় অংশ নেয়, তখন সেটি হয় রিডিউসিং সুগার। যেমন: সুক্রোজ একটি ডাই স্যাকারাইড। এরকম ট্রাই, টেট্রা থেকে শুরু করে ডেকা স্যাকারাইড পর্যন্ত অলিগোস্যাকারাইড আছে। সব ক্ষেত্রেই গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন দ্বারা মনো স্যাকারাইডগুলো যুক্ত থাকে। সুক্রোজ যেহেতু ডাই স্যাকারাইড, এতে দুইটি মনোস্যাকারাইড(গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ) আছে।
এখানে ছবিতে দেখো গ্লুকোজের এক নম্বর কার্বন ফ্রুক্টোজের চার নম্বর কার্বনের সাথে যুক্ত। এই বন্ধনটি হলো আলফা-1,4-গ্লাইকোসাইডিক বন্ধন। দুই পাশের দুই হাইড্রক্সিল মূলকের মধ্য থেকে একটি অক্সিজেন বাদে বাকি দুইটি হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন পানি গঠন করে বেরিয়ে যায়।
সুক্রোজ আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সবচেয়ে কমন একটি সুগার। এতে কার্বনাইল কার্বন বা এনোমারিক কার্বন দুইটি বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। ফলে ঐ দুই কার্বনে কোনো গঠনগত বৈচিত্র্য থাকে না। গঠনগত বৈচিত্র্য ছাড়া মিউটারোটেশন সম্ভব না।কারণ, সমাণু পাওয়া যায় না।
সুক্রোজ আলোকে +৬৬ ডিগ্রি কোণে বাঁকায়। কিন্তু গ্লুকোজ আর ফ্রুক্টোজের ক্ষেত্রে এই মান আলাদা। যদি গ্লুকোজ আর ফ্রুক্টোজকে একত্রে মিশ্রিতও করা হয়, যেখানে উভয়ের মোল সংখ্যা সমান হবে, তবুও তা সুক্রোজের সমান হবে না। বরং সুক্রোজের উলটো দিকে আলোকে বাঁকাবে।
অলিগোস্যাকারাইড মূলত দুই প্রকার-
১) N- লিংকড অলিগোস্যাকারাইড
২) O- লিংকড অলিগোস্যাকারাইড