ঘুমানো স্বাস্থের জন্য ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত ঘুম হলে দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষ নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমালে তা অতিরিক্ত ঘুম হিসেবে ধরা হয়। অতিরিক্ত ঘুমানোকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি রোগ হিসেবে দেখা হয় এবং এর একটি নামও আছে“হাইপারসোমনিয়া”।অতিরিক্ত ঘুমের কারণে দেখা যায় আমরা ক্লাশ মিস করি, কেউ আবার ঘুমের জন্য অফিসে সময় মতো যেতে পারে না।অতিরিক্ত ঘুমের জন্য অনেকেই কোন কাজ ঠিক মতো করতে পারে না।এছাড়া অনেকেই সকাল দুপুর,বিকাল সব সময় ঘুমায় এতো ঘুমালে স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ঘুম কমানোর কিছু টিপস দেওয়া হলোঃ ১. ঘুমোবার আগে ঘরের পরিবেশ ঠিক করুন। লাইট বন্ধ করে দিন। কোনো শব্দ যেন না আসে। শান্ত সুন্দর পরিবেশ হলে তবেই ঘুম আসবে। ২. অতিরিক্ত টেনশন একদম নয়। সবকিছু ভুলে রাতে শরীরকে রেস্ট দিন। মনকে রিলাক্সে রাখতে মেডিটেশন করুন। ৩. পরের দিনের কাজগুলো ঘুছিয়ে রাখুন, নাহলে লিখে রাখুন সকালে উঠে পর পর কী করতে হবে। নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন। ঘুম পেলে অন্যদের সাথে গল্প করুন। ঘুম পেলে চুপ করে বসে থাকলে কিন্তু আরও ঘুম পাবে। ৪. শুয়ে শুয়ে বই পরা বা আন্য কাজ থেকে বিরত থাকুন।শুয়ে বই পরলে ঘুম চলে আশে।তাই শুয়ে বই পরা বা অন্য কাজ থেকে বিরত থাকুন। ৪. গান শুনুন। বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে, গান মন ও মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে তোলে। তাই যখনই ঘুম ঘুম ভাব লাগছে, নিজের সবচেয়ে প্রিয় গানগুলো শুনুন। ঘুম কেটে যাবে। ৫.মাদক সেবন করলে রাতে ঘুম হয় না, কিন্তু দিনের বেলায় খুব ঘুম আসে।মাদক সেবন করলে শরীর সতেজ থাকে না।শরীরে ঝিম ঝিম ভাব থাকে।তাই অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তি পেতে মাদক থেকে দূরে থাকুন।
সুত্রঃ হেলথ বাংলাদেশ