আকাশে মেঘ থাকলে গরম বেশি লাগে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
977 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (20,390 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (20,390 পয়েন্ট)
প্রথমে আলোচনা করা যাক সূর্য থেকে আলো এবং তাপ আসা ও পরবর্তীতে সেই তাপ বিলীন হয়ে যাওয়া সম্পর্কে।

দিনের বেলায় সূর্য থেকে যে আলোকরশ্মি(তাপ ও আলো) বিকিরণ আকারে আসে তার তরঙ্গদৈর্ঘ হয় বেশ ছোট। এ কারণে তা খুব সহজেই বর্ষার মেঘ ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে চলে আসতে পারে। এই বিকিরণ ভূপৃষ্ঠে সহজে আসতে পারলেও প্রতিফলিত হয়ে মহাকাশে চলে যেতে পারে না। কারণ প্রফলন হবার সময়ে এদের তরঙ্গদৈর্ঘ বেশ বড় হয়ে যায় ফলে তখন আর সহজে মেঘ ভেদ করতে পারে না। সেগুলি মেঘের গায়ে ধাক্কা খেয়ে মাটির দিকে ফিরে আসে। এ কারণে মেঘলা দিনে/রাতে ভূপৃষ্ট থেকে বির্কীর্ণ তাপের একটা অংশ মেঘ ও মাটির মধ্যেকার বায়ুমন্ডলে আটকে পড়ার ফলে মাটি এবং তার লাগোয়া বাতাসের স্তর ঠান্ডা তো হয়ই না, বরং বেশ গরম হয়েই থাকে। এতে আবহাওয়ার উষ্ণতা বেড়ে যায় বলেই গরমটা বেশি লাগে।

এবারে আসা যাক গরম/ঠান্ডা লাগার কারণ সম্পর্কে।

এক বস্তু থেকে আরেক বস্তুর মাঝে তাপ চলাচলের শর্ত হলো তাদের মাঝে তাপমাত্রার পার্থক্য থাকতে হবে। এদের মাঝে কোনো একটির মাঝে বেশি তাপমাত্রা এবং অন্য কোনো একটির মাঝে কম তাপমাত্রা থাকতেই হবে। উভয়ের তাপমাত্রা সমান সমান হয়ে গেলে কোনোভাবেই তাপের প্রবাহ ঘটবে না।

অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি কোথাও দাঁড়ালে যদি তার আশেপাশের বায়ুগুলো ঠান্ডা থাকে তবে বায়ুগুলো তার দেহ থেকে তাপ গ্রহণ করে। তখন ওই ব্যক্তি ঠান্ডা/প্রশান্তি বোধ করেন।

কিন্তু কোনো ব্যক্তি কোথাও দাঁড়ানো থাকা অবস্থায় যদি তার আশেপাশের বায়ুগুলোও তার শরীরের সমান তাপমাত্রায় থাকে তবে বায়ু তখন আর ওই ব্যক্তির দেহ থেকে তাপ গ্রহণ করে না ফলে ক্রমাগত ওই ব্যক্তির দেহ উত্তপ্ত হয়ে যায়। তখন ওই ব্যক্তি গরম/অস্বস্তি বোধ করেন।

গরম বা ঠান্ডা বোধ হবার অন্য আরেকটি কারণ হলো বায়ুতে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি। যখন বায়ুতে জলীয়বাষ্প কম থাকে, তখন বায়ু সহজেই আমাদের দেহ থেকে ঘাম শুকিয়ে নেয়, ফলে তখন স্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়। অন্যদিকে বায়ুতে জলীয়বাষ্প বেশি থাকলে তখন আর বায়ু আমাদের শরীরের ঘাম সহজে শুকিয়ে নেয় না, ফলে বেশি গরম/অসহ্য লাগে।

আমরা জানি বর্ষাকালে বায়ুমণ্ডল জলীয় বাষ্পে ভরা থাকে। ফলে হয় কি, তখন সহজে দেহ থেকে ঘাম বাষ্পীভূত হতে পারে না। কারণ বায়ু এমনিতেই জলীয় বাষ্প ধারণ করে আছে। নতুন করে আর বাষ্প ধারণ করতে পারছে না। ফলে দেহ থেকে তাপও বের হতে পারে না , যার কারণে খুব অস্বস্তি লাগে তখন।

ক্রেডিট: অমিত বিশ্বাস
0 টি ভোট
করেছেন (141,830 পয়েন্ট)
আকাশ পরিস্কার থাকলে ভূপৃষ্ঠের বিকীর্ণ তাপ আকাশে উঠে যায় । ফলে ভূপৃষ্ঠ শীতল হয়ে পড়ে । কিন্তু মেঘ অপরিবাহী এবং তাপ বিকিরণে বাধা দেয়। তাই আকাশ মেঘলা থাকলে ভূপৃষ্ঠের বিকীর্ণ তাপ এর আশে পাশেই থেকে যায়। ফলে ভ্যাপসা গরম লাগে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 343 বার দেখা হয়েছে
+11 টি ভোট
1 উত্তর 1,031 বার দেখা হয়েছে
+11 টি ভোট
2 টি উত্তর 532 বার দেখা হয়েছে

10,733 টি প্রশ্ন

18,381 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

243,475 জন সদস্য

53 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 53 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    300 পয়েন্ট

  2. shuvosheikh

    180 পয়েন্ট

  3. তানভীর রহমান ইমন

    160 পয়েন্ট

  4. Aditto Roy

    110 পয়েন্ট

  5. akramul5556

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি #ask চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ #science পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...