আপনার প্রশ্নের উত্তরটি নির্ভর করে আপনি কোন টপিকের উপরে হ্যাকিং শিখতে চাচ্ছেন? হ্যাকিং এর অনেক শাখা রয়েছে, আপনি একজন হ্যাকার মানেই দুনিয়ার সবকিছু হ্যাক করতে পারবেন না, কেনোনা এটা বিশাল এক জগত!
একজন হ্যাকার হওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই নেটওয়ার্কিং এর উপর পারদর্শিতা থাকা বাঞ্ছনীয়। সাথে সকল জনপ্রিয় কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে সাথে ইউনিক্স/লিনাক্সের উপর বিশেষ পারদর্শিতা থাকতে হবে। সাথে লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রো এবং তাদের কম্যান্ড সম্পর্কে ভালো আয়োত্ব থাকা প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন; সি, জাভা, পার্ল ইত্যাদি জানতে হবে এবং ডাটাবেজ যেমন; এসকিউএল সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
আরেকটি কথা মনে রাখবেন, হ্যাকিং এ টেকনিক্যাল বিষয় এবং ঐ গুলোর উপর এক্সপার্ট হওয়ায় কিন্তু একমাত্র বিষয় নয়। টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকার পাশাপাশি আপনাকে স্মার্ট হতে হবে, লোকজনের সাথে সহজেই সম্পর্ক তৈরি করার দক্ষতা থাকতে হবে, দ্রুত সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা এবং মানুষকে কৌশলে ফাঁসানোর ক্ষমতা থাকতে হবে। আপনি যদি কাওকে কথা বলে তার দ্বারা আপনার কাজ করিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তবে মনে করবেন আপনি ৫০% হ্যাকার হয়েই গেছেন। কেনোনা টেকনিক্যাল বিদ্যা খাঁটিয়ে কোন সিস্টেমকে হ্যাক করার জায়গায় ঐ সিস্টেমে বসে থাকা মানুষকে ধোঁকা দেওয়া অনেক সহজ, আর হ্যাকিং এর ভাষায় একে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়।
তবে একজন এথিক্যাল হ্যাকার হতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে সৎ হতে হবে। ম্যালিসিয়াস হ্যাকারের মতো ত্রুটি খুঁজে পাওয়ার পরে টাকার লোভে তার অপব্যবহার করা চলবে না। কোন নেটওয়ার্কে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই আপনার সেখানে প্রবেশ করার সম্পূর্ণ রাইট থাকতে হবে। অনৈতিক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়া কিংবা ব্ল্যাক হ্যাট চিন্তা ভাবনা মাথায় আনাও আপনার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিতে পারে, তাই খুব সাবধান।
হ্যাকিংকে এমনিতেই সাধারন মানুষ খারাপ নজরে দেখে, তাই অবশ্যই আপনাকে ১০০% সততা নিয়ে কাজ করতে হবে। এমনকি ক্যারিয়ার শুরুর আগেও কোন অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত থাকা চলবে না, কেনোনা আপনাকে চাকুরি দেওয়ার আগে কোম্পানি আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে দেখবে। তাই যখন থেকে আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি একজন এথিক্যাল হ্যাকার হতে চান, ঠিক তখন থেকেই সৎ জীবনের শুরু করতে হবে।
©