চোখ ওঠে কেন? এর প্রতিকার কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
1,883 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (24,230 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (24,230 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

চোখ ওঠা একটি অতি পরিচিত সমস্যা। মাঝে মাঝেই এই সমস্যা খুব বেশি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ইদানীং অনেকের চোখ উঠতে দেখা যাচ্ছে। চোখ ওঠা আসলে কী, কেন হয় এবং এর চিকিৎসাই বা কী—আসুন জেনে নেওয়া যাক।

চোখ ওঠা মানে কী?
আমাদের চোখের সাদা অংশটুকু একটা পাতলা পর্দা দিয়ে আবৃত থাকে—যার নাম কনজাংটিভা। এই কনজাংটিভায় যখন সংক্রমণ বা প্রদাহ হয়, তখন এর সূক্ষ্ম রক্তনালিগুলো লালচে হয়ে ওঠে এবং পুরো চোখের সাদাটুকুই তখন লাল হয়ে যায়। এর সঙ্গে থাকে আরও কিছু উপসর্গ। যেমন চুলকানি, অস্বস্তি, ব্যথা, আলোক সংবেদনশীলতা, ঘন সাদাটে বা হলদেটে নিঃসরণ ইত্যাদি। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই কনজাংটিভাইটিসের কারণ ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস। তবে অ্যালার্জি, ঠান্ডা সর্দি বা চোখ কোনো রাসায়নিক বা ক্ষতিকর পদার্থের সংস্পর্শে এলেও কনজাংটিভায় প্রদাহ হয় ও চোখ লাল দেখায়। ভাইরাসজনিত চোখ ওঠায় পাতলা বর্ণহীন পানি পড়ে বেশি। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত হলে নিঃসরণটি ঘন ও একটু হলদেটে হয়ে থাকে।

চোখ উঠলে কী করা?
ভাইরাসই হোক কি ব্যাকটেরিয়া—চোখ ওঠা অত্যন্ত সংক্রামক। উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরবর্তী এক-দুই সপ্তাহ রোগী অন্যকে এই রোগ ছড়াতে পারেন। সে কারণে স্কুল-কলেজ, অফিস বা ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় একসঙ্গে অনেকে এতে আক্রান্ত হন। ভাইরাসজনিত চোখ ওঠার তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত সন্দেহ করলে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ বা অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেওয়া হোক আর না হোক, এটি বেশ কয়েক দিন পর এমনিতেই সেরে যায়। ব্যথা-বেদনা ও অস্বস্তি কমাতে কিছু পরামর্শ:
—একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড়ের টুকরা বা গজ পরিষ্কার ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে ভালো করে চিপে নিংড়ে নিন, এবার চোখ বন্ধ করে চোখের ওপর চেপে ধরুন। দিনে বেশ কয়েকবার এটি করলে আরাম পাবেন। কখনো একবার ঠান্ডা একবার হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে নিতে পারেন। চোখের ধারগুলোতে যে ময়লা নিঃসরণ জমে আঠালো হয়ে থাকে, সেটাও এভাবে ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিন বারবার।
—অ্যান্টিহিস্টামিন চোখের ড্রপ ব্যবহার করলে চুলকানি ও অস্বস্তি অনেকটাই কমবে। তবে তার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।
—এই সময়টাতে চোখে কনটাক্ট লেন্স এবং যেকোনো ধরনের কসমেটিকস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
—আলোক সংবেদনশীলতার কারণে কালো সানগ্লাস ব্যবহার করলে অস্বস্তিভাব কিছুটা কমবে।
—বাড়িতে অন্যদের চোখ উঠলে একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে নিরাপদ থাকতে পারবেন। যেমন বারবার হাত পরিষ্কার করুন, চোখে হাত দেবেন না। অবশ্যই নিজ নিজ ব্যবহার্য জিনিস যেমন তোয়ালে, বালিশের কভার ইত্যাদি আলাদা রাখবেন। চোখে ব্যবহার করা হয় এমন প্রসাধনী কারও সঙ্গে বিনিময় না করাই উচিত। শিশুদের বেলায় এসব সতর্কতা মেনে চলুন।

চোখ ওঠায় ভয় নেই
চোখ ওঠা বিরক্তিকর ও কষ্টকর সমস্যা হলেও এতে ভয়ের কিছু নেই। কয়েক দিন বা এক সপ্তাহ পর এটি আপনাআপনি সেরে যায়। দীর্ঘমেয়াদি হলে বা অন্য কোনো সমস্যা যেমন জ্বর, প্রচণ্ড ব্যথা, দৃষ্টি সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
1 উত্তর 1,334 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,183 বার দেখা হয়েছে
19 এপ্রিল 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ubaeid (28,310 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 339 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
1 উত্তর 1,035 বার দেখা হয়েছে
26 নভেম্বর 2020 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Tasmia Tabassum (2,260 পয়েন্ট)

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

243,369 জন সদস্য

39 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 37 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Aditto Roy

    110 পয়েন্ট

  2. akramul5556

    110 পয়েন্ট

  3. amir

    110 পয়েন্ট

  4. RRPTory27402

    100 পয়েন্ট

  5. Giuseppe5572

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...