হাইপোক্সিয়া সম্পর্কে জানতে চাই। - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
193 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (20,400 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (20,400 পয়েন্ট)
#নীরব_ঘাতক_হ্যাপি_হাইপোক্সিয়া

হ্যাপি হাইপোক্সিয়া। এই টার্মটা অনেকের কাছে নতুন। শরীরের কোষে অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম অবস্থাতা হলো হাইপোক্সিয়া।

হ্যাপি হাইপোক্সিয়া মানে আপনি খুব স্বাভাবিক, কিন্তু এদিকে আপনার শরীরের ভেতরের অক্সিজেন কমে গিয়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। একসময় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়, যা থেকে আর ফিরে আসা যায় না।

আমাদের শরীরে স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেনের স্যাচুরেশন ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশে ওঠানামা করে। এর নিচে নামলে বুঝতে হবে কোষে হাইপোক্সিয়া শুরু হচ্ছে।

৯০ শতাংশের নিচে থাকলে তখন কনফিউশনাল, ইরিটেবল স্টেটে থাকে মস্তিষ্ক।

দীর্ঘক্ষণ ৮০ থেকে ৭৫ শতাংশের নিচে স্যাচুরেশন নামলে অজ্ঞান হওয়ার অবস্থায় পৌঁছে যায়।
বেশিক্ষণ কোষ হাইপোক্সিয়ায় থাকলে একসময় তা মরে যায়।

মস্তিষ্কে ৫ মিনিট, হৃদযন্ত্রে ১০ মিনিট, পায়ে ৬ ঘণ্টা অক্সিজেন না থাকলে মরে যায়।

অবাক করার বিষয় হলো, করোনা আক্রান্ত রোগী সাধারণ জ্বর নিয়ে গল্প করছে বা মোবাইলে চ্যাট করছে, কিন্তু এদিকে স্যাচুরেশন ৮০ শতাংশ হয়ে বসে আছে। উনি জানেনও না এবং তার ন্যূনতম খারাপ বোধ হচ্ছে না।

এদিকে নাকের আগা, কানের লতি নীল হয়ে আছে। দীর্ঘক্ষণ অক্সিজেন না পেয়ে হৃদযন্ত্র হঠাত বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

হাসপাতালে স্বাভাবিক আচরণের রোগীর শরীরে পালস অক্সিমিটার বসিয়ে প্রায়ই স্যাচুরেশন ৮০ কিংবা ৭০ শতাংশ পাওয়া যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলে রোগী বলে তার কোনো অসুবিধা লাগছে না। কিন্তু এর কিছু সময় পরে কি হতে চলেছে উনি নিজে তা আন্দাজ করতে পারছেন না।

তাই করোনা পজিটিভ রোগী একটা পালস অক্সিমিটার সঙ্গে রাখলে ৪ ঘন্টা অন্তর একটু দেখে নিলে নিশ্চিত থাকা যায়।

৯৪ শতাংশের নিচে নামলে আগেই সতর্ক হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যায়।

হ্যাপি হাইপোক্সিয়া করোনা সংক্রমণের একটা অবাক করা বিষয়। শ্বাস নিতে পারছেন, কিন্তু সেই অক্সিজেন রক্তে পৌঁছাচ্ছে না। তাই কোষ পাচ্ছে না। আর বোঝাও যাচ্ছে না কোনো উপসর্গ না হওয়ার কারণে।

এর কারণ মনে করা হচ্ছে, পালমোনারি মাইক্রো ভাস্কুলার থ্রম্বোসিস। ফলে প্রোপার ভেন্টিলেশনেও ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

তাই জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা রোগীর তিন-চার দিন আতিবাহিত হওয়ার পর থেকে একটা পালস অক্সিমিটার দিয়ে নিয়মিত অক্সিজেন স্যাচুরেশন চেক করলে ভালো হয়।

লেখকঃ ডা. হাসান ইমাম,
চিকিৎসক, এসপি হাসপাতাল, ঢাকা।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 221 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,179 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 541 বার দেখা হয়েছে
08 নভেম্বর 2021 "চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fake Id (14,120 পয়েন্ট)

10,826 টি প্রশ্ন

18,533 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

748,943 জন সদস্য

68 জন অনলাইনে রয়েছে
13 জন সদস্য এবং 55 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...