ঘামের দুর্গন্ধ বিরক্তিকর। তবে ঘাম হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ ঘামের মাধ্যমেও শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায়। সাধারণত লোমকূপ থেকে ঘাম বের হয়ে যায়। আমাদের শরীরের ত্বকে দুই ধরণের গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি থেকে ঘামের উৎপত্তি। শরীর চর্চা বা পরিশ্রমের ফলে যে ঘাম উৎপন্ন হয় তা তৈরি করে (একরিন গ্রন্থি) । এই ঘামে দুর্গন্ধ নেই এবং তা আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা করে।
আরেকটি হল (অ্যপোক্রিন গ্রন্থি) । যার উপস্থিতি বগল ও গোপনাঙ্গের আশপাশে। যেখানে রয়েছে অবাঞ্ছিত লোম। এখান থেকে যে ঘাম উৎপত্তি হয় তাতে রয়েছে এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন। যা দুর্গন্ধহীন হলেও ব্যাকটেরিয়ার কারণে এটি দুর্গন্ধে রূপান্তরিত হয়। ব্যাকটেরিয়া গন্ধহীন অংশ ভক্ষণ করে ফলে ঘাম গন্ধযুক্ত হয়।
আবার খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, ওজন ইত্যাদির ভিন্নতার কারণে মানুষের স্বাভাবিক শরীরের গন্ধের ভিন্নতা দেখা যায় । শরীরের স্বাভাবিক গন্ধ এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট ঘামের দুর্গন্ধ একত্রিত হয়ে মানুষের শরীরে ভিন্ন একটি দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে যা মানুষভেদে ভিন্ন ভিন্ন।