স্পেসটাইম বলতে কী বোঝায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
452 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (28,330 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (28,330 পয়েন্ট)

স্পেস-টাইম বা স্পেস-ফেব্রিক, ব্যাপারটি বুঝতে হলে চলে যেতে হবে একটু কল্পনার জগতে কারণ আমরা এটা নিজ চোখে কখনো দেখিনি।

আমাদের চোখে দেখা দুনিয়াটা আসলে তিন মাত্রিক ই দেখি, এখানে সামনে-পিছে যেতে পারেন, ডানে-বামে যাওয়া যায় এবং উপরে-নিচে মোভ করা যায়। এই তিন মাত্রায় ই আমরা সব দেখি বা করি, তাই আসলে আমাদের কাছে সকল কিছু তিন মাত্রিক ই মনে হয়।

 

কিন্ত তিন মাত্রা এর উপরেও মাত্রা আছে, সেগুলো আপাতত না বলি, আমাদের মহাবিশ্ব বা স্পেস মূলত চার মাত্রিক তল যাকে আইনস্টাইন বলেছেন স্পেস-ফেব্রিক, এখানে আমাদের পরিচিত তিন মাত্রার সাথে থাকে চতুর্থ মাত্রা যা হচ্ছে সময়, এই চার মাত্রিক স্পেস কে বলে স্পেস-টাইম বা স্পেস-ফেব্রিক। 

 

সময় সর্বদা একই গতিতে চলেনা বরং মহাবিশ্বের ভিন্ন স্থানে সময়ের বেগ ভিন্ন হয়, যা মূলত হয় এই স্পেস-টাইম বা চার মাত্রিক স্পেস এর কারণেই। 

যেমন এটা আমাদের জানা আছে ব্লাক হোলের নিকটে সময় অনেক ধীর চলে তাই ওখানে একদিন কাটিয়ে এসে দেখা যাবে আমাদের পৃথিবীতে অনেক অনেক বছর পেরিয়ে গেছে, মহাবিশ্বের ভিন্ন স্থানে সময়ের গতির এই ভিন্নতাকে বলে টাইম ডিলেশন। 

এই বিষয়টা বুঝতে একটা সহজ এক্সাম্পল দেয়া হয়, ভাবুন ত একটা চাদর টান টান করে ধরে রাখা হলো, এটায় যদি একটা মারবেল রাখেন সেটা চাদরে কিছুটা বক্রতা তৈরি করবে অবশ্যই, আর যদি বড় পাথর রাখেন সেটা অনেকটা বক্রতা তৈরি করবে,(আমি ব্যাপারটা বুঝতে একটা ইউটিউব লিংক দিব রিপ্লেতে)।

এরকম মহাবিশ্বে বা স্পেসে যে বস্তুর/গ্রহের/নক্ষত্রের ভর যত বেশি সে স্পেস-ফেব্রিক এ তত বেশি খাদ/বক্রতার সৃষ্টি করে, এতে করে তখন স্পেস এর সেই স্থানে সময় ধীর চলে (বক্রতা টা তিন মাত্রিক নয় আবার ভাবুন চার মাত্রিক স্পেসে এই বক্রতা হচ্ছে যেখানে চতুর্থ মাত্রা হিসেবে সময় ও আছে)। 

ব্ল্যাক হোলের ভর অনেক বেশি তাই এটি পৃথিবীর তুলনায় স্পেস-ফেব্রিকে অনেক বেশি বক্রতা তৈরি করে তাই এর নিকট সময় ও অনেক ধীর চলে। 

এখন ভাবতে পারেন, মানুষ বুঝল কিভাবে মহাবিশ্ব এরকম অবস্থায় রয়েছে, ধারণাটি এসেছিল আইনস্টাইনের মাথায়, তিনি বুঝেছিলেন সময় আসলে এই মহাবিশ্বে আপেক্ষিক। 

এবং এটি তখন ই একটি ঘটনার পর সবার কাছে প্রমাণিত হয়, দিনের বেলা আকাশে তাঁরা দেখা যায়না খালি চোখে কারণ সূর্যের আলো অনেক বেশি থাকে, এজন্য সূর্যের পাশে আকাশে যে তারাগুলো দেখা যাবার কথা সেগুলোও দেখা যায়না, তবে ১৯১৯ সালের একটি পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় সূর্যের আলো যখন ঢাকা পরে তখন আকাশের সূর্যের পাশের দিকের অবস্তানরত তারা দেখা যায়, এবং এসময় দেখা যায় যে তারাটির আসলে আকাশে যে অবস্থানে থাকার কথা এটি তার চেয়ে কিছুটা সরে দখাচ্ছে, আমরা জানি সূর্যের ভর অনেক বেশি, তাই এটি স্পেসের যে স্থানে অবস্থিত সেখানে স্পেস_টাইমে অনেকটাই বক্রতার সৃষ্টি করে, এবং এই বক্রতার ফলে এর পাশ দিয়ে আসা আলো বেকে যায়, তাই সেই তারাটির আলো আমাদের চোখে আশার আগেই বেকে গিয়েছে যার ফলে এর আকাশে আমাদের চোখে এর অবস্থান কিছুটা সরে দেখাবে। 

আলো হচ্ছে মহাবিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগামী , এর চেয়ে দ্রুত আর কিছুই চলতে সক্ষম নয়, স্পেস-টাইম বা স্পেস-ফেব্রিকে বক্রতার ফলে যদি আলোর চলার দিক পরিবর্তিত হয় অবশ্যই এখানে সময় ও ধীর হবেই। 

সময় এবং বাকি পরিচিত তিন মাত্রা মিলে আমাদের চার মাত্রিক এই মহাবিশ্ব, যাকে স্পেস-টাইম বলে ।

- হাসবি

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 636 বার দেখা হয়েছে
19 এপ্রিল 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ubaeid (28,330 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 306 বার দেখা হয়েছে
21 জুলাই 2023 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rafikul Al Imran (5,380 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,855 বার দেখা হয়েছে
17 জানুয়ারি 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন MD Wahiduzzaman (130 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 178 বার দেখা হয়েছে
29 ডিসেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,665 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

270,648 জন সদস্য

22 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 22 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  4. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  5. nohu28today

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...