মায়োপিয়ার কারণ ও প্রতিকার কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
6,356 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (28,330 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (28,330 পয়েন্ট)
ক্ষীণ দৃষ্টি বা স্বল্প দৃষ্টিকে মায়োপিয়া বলে। চোখের এই সমস্যাটির ফলে আপনি দূরের জিনিস স্পষ্টভাবে দেখতে পান না বা ঘোলাটে দেখেন। চোখের প্রতিসারক ত্রুটির জন্য মায়োপিয়া হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় দূরের কোন বস্তুর ফোকাস রেটিনার উপরে পড়ে কিন্তু মায়োপিয়া হলে এই ফোকাস রেটিনার সামনে পড়ে। এর ফলে দূরের বস্তুকে অস্বচ্ছ বা ঘোলাটে দেখায়। তাই চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং মাথাব্যথা হয়। এটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। যদি মায়োপিয়ার চিকিৎসা করা না হয় তাহলে রেটিনার ক্ষতি হয় এবং স্থায়ীভাবে দৃষ্টিহীন হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে।

 

মায়োপিয়া হওয়ার কারণ :

- মায়োপিয়া হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে কোন কাজ করার সময় খুব কাছ থেকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা।

- অন্ধকারে বা কম আলোতে কাজ করাও মায়োপিয়া হওয়ার অন্যতম কারণ

- দীর্ঘদিন মাইনাস পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করলেও মায়োপিয়ার অবস্থার অবনতি হতে পারে

- টাইপ ২ ডায়াবেটিসও মায়োপিয়া হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে।

- বংশগতির কারণেও মায়োপিয়া হতে পারে বলে জানা যায় ওহায়ো ষ্টেট ইউনিভারসিটি কলেজ অফ অপ্টোমিট্রি এর করা এক গবেষণায়।

 

ঘরোয়া কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে মায়োপিয়ার প্রকোপ কমানো যায়। আসুল তাহলে সেই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।

১। চোখের ব্যায়াম

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের অপথালমোলজি বিভাগের গবেষণা মতে জানা যায় যে, চোখের ব্যায়াম মায়োপিয়ার সমস্যার উপর প্রভাব ফেলে। বর্তমানে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা ঔষধ ও চশমা ব্যবহারের পাশাপাশি চোখের ব্যায়াম করার ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ইয়োগাও করতে পারেন।

 

২। দমচর্চা বা প্রাণায়াম

নিয়মিত দমচর্চা করা মায়োপিয়ার প্রতিকারে সাহায্য করে। রিলেক্সভাবে এক জায়গায় বসে গভীরভাবে নাক দিয়ে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়ুন। এভাবে ৩ মিনিট যাবত দমচর্চা করুন প্রতিদিন।

 

৩। বিরতি নিন

একটানা পড়া, টিভি দেখা বা কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে অল্প দূরত্বে চোখের ফোকাস করার প্রয়োজন পড়ে ফলে মায়োপিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই এই কাজগুলো করার সময় মায়োপিয়া হওয়া এড়াতে বা এর তীব্রতা কমানোর জন্য কিছুক্ষণ পর পর বিরতি নেয়া উচিৎ।  

 

৪। পর্যাপ্ত আলোতে কাজ করা

কম আলোতে কাজ করলে দৃষ্টিশক্তির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। কারণ কম আলোতে কাজ করার সময় চোখের উপর বেশি চাপ পড়ে। ফলে চোখের পেশীতে টান পড়ে এবং মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টির সমস্যা সৃষ্টি হয়।

 

৫। ভিটামিন গ্রহণ করুন

মায়োপিয়া প্রতিকারের একটি প্রধান উপায় হচ্ছে ভিটামিন গ্রহণ করা। ভিটামিন এ, বি, ই, ডি এবং ভিটামিন সি এর সাথে ভালো দৃষ্টিশক্তির সম্পর্ক খুবই গভীর। এই ভিটামিনগুলোর উৎস হচ্ছে- গাজর, টমাটো, আপেল, মরিচ, মাছ, সবুজ শাকসবজি, শুষ্কফল এবং বাদাম। ভিটামিন সমৃদ্ধ এই খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।

 

৬। ত্রিফলা

আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বিভিন্ন রকম উপায় বর্ণনা করা হয়েছে চোখের রোগ নিরাময়ের জন্য। বহেড়া, বঁইচি ও আমলকী একসাথে মিশিয়ে ত্রিফলা তৈরি করা হয়। ত্রিফলা আয়ুর্বেদ ঔষধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায় অথবা আপনি বাসাতেও তৈরি করে নিতে পারেন। ত্রিফলার মিশ্রণ চোখের পেশীকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং নিয়মিত পান করলে মায়োপিয়ার সমস্যা নিরাময়ে অত্যন্ত উপকারী ভূমিকা রাখে। ২ কাপ ফুটানো ও ঠান্ডা পানিতে ১ আউন্স ত্রিফলার নির্যাস মিশিয়ে সকালে ও বিকালে চোখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে পারেন।

 

৭। সূর্যোদয় দেখুন

প্রতিদিন সকালে ৩-৫ মিনিট সূর্যোদয় দেখা মায়োপিয়া নিরাময়ের জন্য উপকারী। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন। হাঁটা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী আর সূর্যোদয় দেখা আপনার চোখের জন্য বিশেষ করে মায়োপিয়ার জন্য খুবই উপকারী ভূমিকা রাখে।

 

৮। উষ্ণতা

দুই হাতের তালু কিছুক্ষণ ঘষে নিয়ে দুই চোখের উপর হালকাভাবে চেপে ধরুন। দিনের যেকোন সময় এটি করতে পারেন। যখনই স্ট্রেস অনুভব করবেন তখন কাজ থেকে কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে এই সহজ এক্সারসাইজটি করুন। এতে আপনার চোখ পুনরুজ্জীবিত হবে।    

 

লিখেছেন- সাবেরা খাতুন
0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
দৃষ্টিক্ষীণতা (কাছের জিনিস দৃশ্যমান) এমন একটি অবস্থা যার ফলে আপনি কাছের বস্তু স্পষ্ট দেখতে পাবেন, কিন্তু দুরের দৃষ্টি হবে অস্পষ্ট। আপনার টেলিভিশন পর্দা, হোয়াইটবোর্ড ইত্যাদি জিনিষগুলো দেখতে অসুবিধা হতে পারে। দৃষ্টিক্ষীণতাকে শ্রেণীভুক্ত করা হতে পারে দুটি পর্যায় উচ্চ দৃষ্টিক্ষীণতা (তীব্র দৃষ্টিক্ষীণতা) এবং নিম্ন দৃষ্টিক্ষীণতা (হালকা দৃষ্টিক্ষীণতা)।

 

এর প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি?

 

নিচে উল্লেখ করা লক্ষণ ও উপসর্গগুলি দৃষ্টিক্ষীণতার সাথে জড়িত ব্যক্তিবিশেষে লক্ষ করা যায়:

 

দৃষ্টি ক্ষমতা দুর্বল।

মাথাযন্ত্রনা।

চোখ টনটন করা।

এর প্রধান কারণ কি কি?

 

দৃষ্টিক্ষীণতার কারণগুলি নিচে উল্লেখ করা হল:

 

বংশগত: দৃষ্টিক্ষীণতা বিকাশের প্রবণতা বংশগত হতে পারে, তবে এটা চোখের ওপর কতটা চাপ দেওয়া হচ্ছে তার ওপরেও নির্ভর করে।

দর্শন সম্বন্ধীয় চাপ: কাজ বা পড়াশোনা বিষয়ক চাপ যা কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে হয়।

ডায়াবেটিসের মতো রোগ: ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা বদল হওয়ার কারণে তা দৃষ্টিতে প্রভাব ফেলে।

পরিবেশগত কারণ: পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলে দৃষ্টিতে প্রভাব পরে, উদাহরণ স্বরূপ, কেবলমাত্র রাতে ঝাপসা দৃষ্টি যা রাতের দৃষ্টিক্ষীণতা নামে পরিচিত।

কিভাবে এর নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়?

 

চক্ষুবিশেশজ্ঞ একটি বিস্তীর্ণ চক্ষু পরীক্ষা করতে পারেন দৃষ্টিক্ষীণতা নির্ণয় করার জন্য। এই পরীক্ষার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত দৃষ্টি সংক্রান্ত পরীক্ষা ও চক্ষু পরীক্ষা। চোখের পরীক্ষা করার জন্য চোখের ড্রপ দেওয়া হতে পারে যার ফলে চোখের মনি বড় হয়ে যায় এবং চোখের পরীক্ষা করতে সুবিধা হয়।এটি রেটিনা এবং অপটিক স্নায়ুকে কাছ থেকে পরীক্ষা করতে সহয়তা করে।

 

দৃষ্টিক্ষীণতা চিকিৎসার জন্য যে সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি ব্যবহার কফরা হয় তা হলো সংশোধনীয় চশমা বা চোখের লেন্সেস। এছাড়াও যে পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করা হয় তা হলো:

 

ফটোরিফ্রাক্টিভ কেরাটেকটমি (পিআরকে) এবং লেজার-অ্যাসিস্টেড ইন-সিটু কেরোটোমিলিউসিস (এলএএসআইকে)এর মতো প্রতিসারক অস্ত্রপ্রচার।প্রতিসারক অস্ত্রপ্রচারটি করা হয় অপটিক এররগুলি ঠিক হওয়ার পর(যেগুলি হল,সেই সময় স্থিতিশীল থাকা আপনার চশমার ক্রমিক সংখ্যা ),সাধারণত যখন আপনার বয়স সম্পূর্ণ 20 এর মধ্যে থাকে এবং আপনার বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হয়ে যায় । এই অস্ত্রপ্রচার কর্নিয়ার আকৃতি পরিবর্তন করে রেটিনার কেন্দ্রে আলো স্থাপন করতে উন্নতিসাধন করে।

করনিয়াল প্রসারন চিকিৎসা পদ্ধতি (অর্থ-কে): এটি একটি অস্ত্রপচারবিহীন পদ্ধতি যেখানে আপনি একটি শক্ত লেন্স পড়েন এবং তার ফলে আপনার করনিয়া পুনরাকার গঠন করে।

দর্শন চিকিৎসা পদ্ধতিঃ আপনার যদি চাপ সংক্রান্ত দৃষ্টিক্ষীণতা হয়ে থাকে তাহলে এটি খুব উপকারি। চক্ষু ব্যায়ামের পরামর্শ দেওয়া হয় আপনার লক্ষকে ভালো করার জন্য ও পরিষ্কার দূরদৃষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+7 টি ভোট
1 উত্তর 267 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,225 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 1,500 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 326 বার দেখা হয়েছে
24 মার্চ 2022 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন MD.OMOR SHARIF SAGOR (120 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 177 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

273,708 জন সদস্য

33 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 31 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. sib_gat

    110 পয়েন্ট

  4. phantomdeluxe

    110 পয়েন্ট

  5. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...