ডায়রিয়াতে ব্যবহৃত ওরস্যালাইন কে আবিষ্কার করেন?কবে করেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
719 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (24,290 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (1,630 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

 

রফিকুল ইসলাম (১৯৩৬ - ৬ই মার্চ, ২০১৮) ছিলেন একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী। তিনি ডায়রিয়া নিরাময়ের জন্য খাবার স্যালাইন (ওরস্যালাইন) আবিষ্কারের জন্য পরিচিত। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যান্সেট তার আবিষ্কৃত খাবার স্যালাইনকে "চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার" বলে উল্লেখ করেছিল।[১]

0 টি ভোট
করেছেন (2,760 পয়েন্ট)
শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার : ওরস্যালাইন
ওআরএস বা ওরাল রিহাইড্রেসান সলিউশন এখন বাংলাদেশের প্রতিটি পরিবারে পরিচিত একটি পণ্য।ডায়রিয়ার হাত থেকে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ শিশুর জীবন বাঁচানোর কৃতিত্ব দেওয়া হয় খাবার স্যালাইনকে (ওআরএস)। সব ওষুধের দোকানেই স্বল্প মূল্যে খাবার স্যালাইন পাওয়া যায়।

১৯৩৬ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রফিকুলের জন্ম। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে আইসিডিডিআরবিতে যোগ দেন। ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানেই কর্মরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। বিশেষ করে খাবার স্যালাইন-ওআরএস আবিষ্কারের মাধ্যমে ডায়রিয়ার হাত থেকে লাখ লাখ শিশুর জীবন বাঁচান।

জনস্বাস্থ্যে খাবার স্যালাইনের গুরুত্ব বিবেচনায় ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যান্সেট একে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার আখ্যা দিয়েছিল। ওআরএস তীব্র ডায়রিয়া চিকিৎসায় তরল খাওয়ানোর রাস্তা খুলে দিয়েছে।

আধা লিটার পানিতে এক প্যাকেট স্যালাইন গুলিয়ে খেতে হয়। এই তরলে শরীরের পানিশূন্যতা দূর হয়। হাতের কাছে স্যালাইনের প্যাকেট না থাকলে আধা লিটার বিশুদ্ধ পানিতে এক মুঠ চিনি বা গুড় এবং এক চিমটি লবণ গুলিয়ে খেতে হবে, একই কাজ হবে। এই প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী ডায়রিয়া চিকিৎসার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, কোনো পরিবার খাওয়ার স্যালাইন তৈরি করতে জানলে বা কোনো পরিবারে স্যালাইনের প্যাকেট মজুত থাকলে ওই পরিবারের কোনো সদস্য ডায়রিয়ায় মারা যাবে না।

ওআরএস নিয়ে গবেষণা, আবিষ্কার, মানুষের কাছে পৌঁছানোর কৌশল, মানুষকে ওআরএস বানাতে শেখানো—এর সব হয়েছে বাংলাদেশে। মূল গবেষণা করেছেন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) বিজ্ঞানীরা। আর সেই আবিষ্কারের নেপথ্যে ছিলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. রফিকুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন বিজ্ঞানী ডেভিড আর নেলিন ও রিচার্ড এ ক্যাস। ওই গবেষণার ফলাফল ১৯৬৮ সালের আগস্টে ল্যানসেট–এ প্রকাশিত হয়।

তবে মূল গল্পটা শুরু হয় ১৯৭১ সালে। স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশ। রাজপথ তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দখলে। আর সেই যুদ্ধের পরিস্থিতিতে কাতারে কাতারে ভিটেমাটি ছেড়ে চলে আসছেন মানুষ। কেউ কেউ কাঁটাতার পেরিয়ে চলে আসছেন ভারতবর্ষে। সীমান্ত অঞ্চল জুড়ে গড়ে উঠছে উদ্বাস্তুশিবির। নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কোনোরকমে বেঁচে থাকতে হচ্ছে তাদের। আইসিডিডিআরবির মহাখালীর কলেরা হাসপাতালে ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা দূর করতে ওআরএস ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ভারতের শরণার্থীশিবিরে ওআরএস ব্যবহার করা হয়েছিল।

এর পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খাবার স্যালাইনকে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ডায়রিয়ার চিকিৎসায়।  স্যালাইনের ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। এ কারণে এটি “ঢাকা স্যালাইন” নামেও পরিচিতি পেয়েছিল।

©️মুশফিকুর রহমান | সাইন্স বী

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 213 বার দেখা হয়েছে
12 অগাস্ট 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন প্যারাফিন (2,760 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 731 বার দেখা হয়েছে
11 ফেব্রুয়ারি 2023 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Meherun jahan (420 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 234 বার দেখা হয়েছে
13 ডিসেম্বর 2022 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ashim Datta (3,220 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 330 বার দেখা হয়েছে
13 ডিসেম্বর 2022 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ashim Datta (3,220 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
1 উত্তর 383 বার দেখা হয়েছে

10,841 টি প্রশ্ন

18,541 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

844,373 জন সদস্য

161 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 160 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. M_Hamza

    340 পয়েন্ট

  2. NaeemAdnan

    170 পয়েন্ট

  3. Dibbo_Nath

    140 পয়েন্ট

  4. keovipwiki

    100 পয়েন্ট

  5. ph8zph

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...