লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (LPG), অর্থাৎ চাপে শীতলীকৃত জ্বালানী গ্যাস, এ সমস্ত নামে প্রোপেন বা বিউটেনকে বা এদের মিশ্রণকেও নির্দেশ করা হয়। এটি মূলত দাহ্য হাইড্রোকার্বন গ্যাসের মিশ্রণ।
LPG জ্বালানী হিসেবে রান্নার জন্য বাড়িতে ব্যবহৃত হয়।
কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি), অর্থাৎ সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস, জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি রূপ। গ্যাসকে চাপের মাধ্যমে তরলে পরিণত করে তা গ্যাস-ট্যাংকে জমা করা হয়।
CNG জ্বালানী হিসেবে গাড়িতে ব্যবহৃত হয়।
(1) LPG অনেক দেশে অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়, এটি জ্বালানীর উৎস হিসেবে কোন দেশে চাহিদার প্রথমে থাকে।
ভারতে প্রায় ৮.৯ মিলিয়ন টন LPG খাদ্যে আহার করা হয় এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৬ (ছয় মাস) প্রধানত রান্না করার জন্য গার্হস্থ্য খাতে।
LPG একবার হংকংয়ের একটি রান্নার ইন্ধন ছিল; তবে, নতুন ভবনগুলিতে শহরে গ্যাসের বর্ধিত সম্প্রসারণে এলপিজি ব্যবহারের পরিমাণ ২৫% এর কম হলেও আবাসিক ইউনিটগুলি কমিয়ে দেয়।
ব্রাজিলের শহুরে এলাকার LPG হচ্ছে সবচেয়ে সাধারণ রান্নার জ্বালানি জ্বালানী, যা রিও ডি জেনেইরো এবং সাও পাওলো শহরের ব্যতিক্রমধর্মী গ্যাস পাইপলাইন অবকাঠামোসহ ব্যতিক্রমধর্মী সব পরিবারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।
এলপিজি সাধারণত উত্তর আমেরিকায় গার্হস্থ্য রান্নার জন্য ব্যবহার হয়।
বর্তমানে বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহ্রত LPG কে জীবাশ্ম জ্বালানী হতে উৎপাদন করা হচ্ছে। এটি দহনের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড ( CO2 ) নির্গত হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি কয়লার তুলনায় ৫০% কম কার্বন ডাই অক্সাইড ( CO2 ) নির্গত করে এবং প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা শক্তি উৎপাদনের জন্য খনিজ তেল ও কয়লা এর যথাক্রমে ৮১% ও ৭০% ভাগের সমান কার্বন ডাই অক্সাইড ( CO2 ) নির্গত করে।
LPG অন্য জীবাশ্ম জ্বালানী হতে কম দূষণ ঘটায়, কারণ এটি দহনের ফলে কোন অবশেষ থাকেনা।
তাই রান্নার কাজে এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়।
(2) সাধারণ ব্যবহার্য প্রাকৃতিক গ্যাসকে প্রচন্ড চাপে (৩০০০+ PSI) তরলিকৃত করা হয়। গ্যাস লাইনের মাধ্যমে আগত গ্যাসকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। এতে তরলীকৃত গ্যাস, ট্যাংকে জমা হয় এবং অবশিষ্ট ৮০% গ্যাস পুনরায় লাইনে ফেরৎ যায়। এভাবে পর্যায়ক্রমে এই প্রক্রিয়ায় জমা হওয়া গ্যাস গাড়িতে সংরক্ষিত ট্যাংকে ভরে দেয়া হয়।
ব্যবহার
প্রায় সবধরনের ডিজেল বা পেট্রলচালিত গাড়ি সিএনজি-তে রূপান্তরের মাধ্যমে সিএনজি-কে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
সুবিধা
সিসা ও বেনজিন মুক্ত। রক্ষনাবেক্ষন খরচ কম। গ্যাস সহজলভ্য ও সস্তা। সিএনজি বিক্রি হয় কিউবিক মিটার হিসেবে। সিএনজি ও জ্বালানী তেল উভয়ের মাইলেজ প্রায় সমান হলেও, এটি দামে সাশ্রয়। এছাড়াও পরিবেশ রক্ষায় এর যথেষ্ট অবদান রয়েছে।
তাই গাড়িতে এর ব্যবহার বেশি।
তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া