সর্বদা চিন্তামুক্ত থাকুন । পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন আর ঠিকমতো ঘুমান, আর স্বাস্থের প্রতি লক্ষ্য রাখুন এবং খাওয়া-দাওয়া ঠিক মত করুন । আপনি আমিষ জাতীয় খাবার; যেমনঃ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ বেশী করে খাবেন আপনি সিরাপ সিনকারা খেতে পারেন একটানা 6 সপ্তাহ। 6 চা চামুচ করে দিন দুইবার। চোখের নিচে কালি নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এই চোখের কালি দূর করতে কত কিছুই না করলেন। একটু কমলেও আবার আগের মতো হয়ে যায়। তাহলে উপায়? পরামর্শ দিয়েছেন মিডফোর্ড হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামসুল হক। এর কারণ জন্মগত নিদ্রাহীনতা অ্যালার্জি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রক্তস্বল্পতা গর্ভাবস্থা বা ঋতুচক্রের সময় বয়সের প্রভাব অনেক সময় যকৃতের সমস্যা সমস্যা দূর করতে পরিমিত ঘুমানোর অভ্যাস। অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এমন ওষুধ পরিহার করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। তবে রাতে ঘুমানোর আগে বেশি পানি খাওয়া অনুচিত। চোখ কচলানো একেবারে বাদ দিন। চোখে ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন। মাথার নিচে অতিরিক্ত বালিশ ব্যবহার করতে পারেন। এটি অনেক সময় চোখের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। প্রচুর সবুজ মৌসুমি শাকসবজি আর ফলমূল খান। ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। দুশ্চিন্তা আর মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। রোদে বাইরে বের হলে রোদচশমা ব্যবহার করতে পারেন। ঘরে বসে সহজেই আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের নিচের কালি দূর করতে পারেন। পাতলা করে কাটা শসা চোখে দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ রাখুন। ব্যবহূত টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে সকালে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখে রাখুন। পাতলা করে কাটা আলুর টুকরা ফ্রিজে রেখে চোখে রাখুন। আলু ও শসা সমপরিমাণে মিশিয়ে চোখের চারপাশে ক্রিম হিসেবে লাগাতে পারেন। টমেটোর রস অনেক ক্ষেত্রে উপকারী। কখন চিকিৎসককে দেখানো জরুরি চোখের কালো দাগ এবং ফোলা যদি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে এবং দৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
মায়া আপা