আচ্ছা হাত-পা,ঘাড় ইত্যাদি মোচড় দিলে ফুটে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
1,256 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (20,400 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (20,400 পয়েন্ট)
অভ্যাসের বশেই হোক অথবা মজা করেই হোক অনেক সময়ই আমরা আঙুল ফোটানোর কাজটা করে থাকি। কখনও কখনও এই ব্যাপারটি নিয়ে বন্ধুদের মাঝে প্রতিযোগিতাও দেখা দেয়। তবে শুধু আঙুল ফোটালেই যে শব্দ হয় ব্যাপারটি এমন নয়। হাঁটা-চলা, ব্যায়াম এমনকি নামাজের সময়ও অনিচ্ছাকৃতভাবে কনুই, হাঁটু, গোড়ালি সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগে শব্দ হতে পারে।

অনেকে ভাবেন আঙুল ফোটার এই শব্দ সাধারণত হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে হয়। কিন্তু আদতে এমনটি হয় না।

আঙুল ফোটানোর সময় আমরা আঙুলকে এমনভাবে বেন্ডিং করি যেটি সাধারণভাবে আঙুলের পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়। আঙুলের জয়েন্টগুলোর চারপাশে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামে এক ধরনের ফ্লুইড থাকে। আঙুলগুলোকে যখন আমরা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনি তখন এই ফ্লুইডে একধরনের ভ্যাকুয়াম আর বাবল সৃষ্টি হয় যেটা একদম সাথে সাথেই ভেঙে যায়। এই বাবল ভেঙে যাওয়ার শব্দই মূলত আঙুল ফোটানোর শব্দের উৎস।

গবেষণা বলে, মাঝে মাঝে আঙুল ফোটানো অস্থির ক্ষতজনিত রোগ আর্থ্রায়টিস বা অস্টিওআর্থ্রায়টিস রোগ হওয়ার আশংকা কমিয়ে দেয়।

তবে আঙুল ফোটানো যতই মজার ব্যাপার হোক না কেন অভ্যাসটি খুব একটি ভালো কিছু নয়। স্বাভাবিকভাবে যতটুকু আঙুল ফোটানো হয় ততটুকুই ভালো। এটির পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় তবে দেখা দিতে পারে হাড়ের সমস্যা। আর যদি ঘাড় ফোটানোর অভ্যাস থাকে তাহলে সেটি যত দ্রুত সম্ভব পরিহার করা উচিত। কারণ এ থেকে ঘাড়ে স্থায়ী ব্যথা দেখা দিতে পারে।

©কোরা
0 টি ভোট
করেছেন (4,010 পয়েন্ট)

মূলত আপনার হাত-পা অথবা অন্যান্য নড়নশীল অঙ্গ অস্থি দ্বারা গঠিত।অস্থিসন্ধিতে দুই হাড়ের মাঝে যে পিচ্ছিল তরল থাকে, তা নড়াচড়ার সময় হাড়ের পরস্পর ঘর্ষণে বাধা দেয়। 

মানুষের শরীরে হাড়ের সংযোগে প্রায়ই নানা রকমের শব্দ শোনা যায়। টেকনিক্যাল টার্মে এসব শব্দকে বলে ক্রেপিটাস যা ল্যাটিন শব্দ র‍্যাটল থেকে এসেছে। র‍্যাটল শব্দের অর্থ ঘর্ঘর করা। যে কোনো বয়সী মানুষের শরীরের হাড়ে এমন শব্দ হতে পারে। তবে বুড়ো বয়সে শব্দগুলো বেশি শোনা যায়।

কিন্তু এমন শব্দ হওয়ার কারণ কী? প্রকৃতপক্ষে, দুই হাড়ের সংযোগের শূন্যস্থানে থাকা গ্যাসের বুদবুদই এমন শব্দ সৃষ্টি হওয়ার সাধারণ কারণ। এই বুদবুদ সৃষ্টির কারণ হলো, দুটি হাড়ের শেষ প্রান্তে- যেখানে সংযোগ ঘটে- দুই হাড়কে পৃথক করে ফ্লুইড নামের তরলের একটি স্তর। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিদিনের গতিশীল কর্মকাণ্ডের ফলে দুই হাড় বিচ্ছিন্ন হয় আবার সংযুক্ত হয়। যখন এটি ঘটে তখন সংযোগ স্থানটিতে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামের তরল (সংযোগে প্রাকৃতিক লুব্রিক্যান্ট) -এর মধ্যে যে গ্যাসের গহ্বর সৃষ্টি হয় সেখানে গ্যাস জমা হয়। এই গ্যাসের মধ্যে রয়েছে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড। চাপের ফলে সেখানে সৃষ্ট বুদবুদই শব্দ সৃষ্টির কারণ। 

এই শব্দ তখনই ভয়ঙ্কর হতে পারে যখন তা অস্বাভাবিক শোনায়, ব্যথা হয় কিংবা ফুলে যায়। তবে এমন অবস্থা খুব কমই হয় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

বৈজ্ঞানিক বিতর্ক হাড়ের সংযোগে এই শব্দ কীভাবে সৃষ্টি হয় তা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ১৯৪৭ সালে এক গবেষণায় প্রথমবারের মতো চিকিৎসকরা চেষ্টা করেন এটি বোঝার। তাঁরা তখন মনে করেন যে গ্যাস থেকে বুদবুদ সৃষ্টি হওয়ার কারণেই এই শব্দ সৃষ্টি হয়। কিন্তু পরবর্তী গবেষণায় দাবি করা হয়, শব্দটি আসলে বুদবুদ বিস্ফোরণের ফলে ঘটে।

এই বৈজ্ঞানিক দ্বন্দ্ব অনেক বিতর্ক সৃষ্টি করে এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত এর সমাধান হয়নি যখন হাড়ের সংযোগের রিয়েল-টাইম মেডিক্যাল ইমেজগুলো গবেষণার ফলে প্রমাণিত হয় যে বুদ্বুদের গঠনই এমন শব্দ সৃষ্টি করে। একবার শব্দ সৃ্ষ্টির পর পুনরায় গ্যাস জমা হওয়ার জন্য কিছুটা সময় নেয়- এই কারণে দ্রুত হাড় সংযোগ করা যায় না।

কখন উদ্বেগের কারণ হয় না? 

কখনো কখনো শরীরের গঠনবিষয়ক কারণে সংযোগে শব্দ সৃষ্টি হয়। যখন হাড়কে ঢেকে রাখা টিসুর ওপর রগ নড়াচড়া করতে থাকে তখন হাড় তার দ্রুত পূর্বের স্থানে ফিরে আসার সময় শব্দ হয়। বসা অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়ানোর সময়, কিংবা বসার সময়, আরোহণের সময় সাধারণত হাঁটুতে এ ধরনের শব্দ হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ শব্দ বাড়তে থাকে। যদি এই শব্দের সময় ব্যথা না লাগে তাহলে তা নিয়ে  ভয়ের কিছু নেই। 

কখন উদ্বেগের কারণ হয়?

হাড়কে ঢেকে থাকা টিসু বা কার্টিলেজ বয়স বাড়ার সাথে অগোছালোভাবে বাড়তে থাকে। ওঠাবসার সময় অমসৃণ টিস্যুগুলো একে অপরের সঙ্গে ঘষা লাগার ফলে শব্দ হয়। আবার হাড়ের সঙ্গে অন্য হাড়কে যুক্ত করতে সাহায্য করে যে লিগামেন্ট নামের সংযোজক কলা, নড়াচড়া করার সময় তা টাইট হয়ে যায় অথবা সংযোগের আস্তরণ ঘুরে যায়। যদি এ সময়  হাঁটুতে শব্দ হওয়ার সাথে সাথে ব্যথা ও ফুলে ওঠে তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

http://en.m.wikipedia.org/wiki/Synovial_fluid

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,030 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 6,782 বার দেখা হয়েছে
27 ফেব্রুয়ারি 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)
+9 টি ভোট
1 উত্তর 569 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
1 উত্তর 948 বার দেখা হয়েছে

10,844 টি প্রশ্ন

18,544 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

845,629 জন সদস্য

25 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 25 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    140 পয়েন্ট

  2. vin88ucom

    100 পয়েন্ট

  3. gg88shop

    100 পয়েন্ট

  4. hm88autos

    100 পয়েন্ট

  5. 100winnnet

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...