ঘূর্ণিঝড়ের নাম কিসের ভিত্তিতে দেওয়া হয়? যেমন - আমফান,সিডর,নার্গিস ইত্যাদি ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+16 টি ভোট
1,686 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (15,760 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+5 টি ভোট
করেছেন (15,760 পয়েন্ট)
কখন, কোথায়, কোন ঝড় হয় তা নিয়ে বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। ১৯৪৫ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। যারা একবার হলেও ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছেন তারা জানেন এর ভয়াবহতা। ঝড়ে সবচাইতে বেশ আক্রান্ত হয় সমুদ্র নিকটবর্তী অঞ্চলের মানুষেরা। প্রায় প্রতি বছর তারা কোনো না কোনো ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের সম্মুখীন হচ্ছেন।

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনস্থ বিভিন্ন আঞ্চলিক কমিটি। সমুদ্রের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এই আঞ্চলিক কমিটি তৈরি করে। যেমন উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সব ঝড়ের নামকরণ করবে World Meteorological Organization (WMO)-এর ৮টি সদস্য রাষ্ট্র— বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যাণ্ড ও ওমান। এদের একত্রে বলা হয় ‘স্কেপে’।

কিভাবে নির্বাচন করা হয়?

আঞ্চলিক কমিটির সদস্য দেশগুলো সম্ভাব্য ঝড়গুলোর জন্য আগেই বিভিন্ন নাম প্রস্তাব করে রাখে। যখন ঝড় সৃষ্টি হয় তখন নামগুলো ব্যবহার করা হয়। একই নাম দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা হয় না।

আগে ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের ঝড়গুলোর নাম হতো সন্তদের নামে। যেমন সান্তা আনা, স্যান ফেলিপ (১ম), স্যান ফেলিপ (২য়)। এরপর ঝড়ের নামকরণ করা হতো অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, মানুষের কাছে এসব নাম একটু বেশিই জটিল শোনায়। এ ধরণের নামের চেয়ে সংক্ষিপ্ত ও সুনির্দিষ্ট নামকরণ লিখিত বা মৌখিক যেকোনো যোগাযোগে অধিকতর সহজ। ফলে এ ধরনের নাম ব্যবহার অনেক বেশি যুক্তিসঙ্গত। যেমন ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ঝড়টি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে বলার চেয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ধেয়ে আসছে বলা অনেক সহজ এবং গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে দ্রুত সহায়ক।

স্কেপের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, প্রতিটি দেশ থেকে ১০টি করে নাম জমা নেওয়া হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার জন্য।

যেভাবে এলো ‘আমফান’ নামটিঃ-

কোনো নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তখন তালিকার ক্রম মেনে নাম বরাদ্দ হয়। সে অনুযায়ী এ অঞ্চলে সৃষ্ট নতুন ঘূর্ণিঝড়টির নাম হয়েছে আমফান। এটি থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম। থাই শব্দ ‘আমফান’ অর্থ শক্তিশালী।

২০০৪ সালে সদস্য দেশগুলোর প্রস্তাবিত নাম নিয়ে ৬৪টি নামের যে প্রথম তালিকাটি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা দিয়েছিল, আমফান তার ৬৪তম, অর্থাৎ সর্বশেষ নাম।
0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। যেমন ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আটটি দেশ। দেশগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ওমান, যাদের প্যানেলকে বলা হয় WMO/ESCAP।
0 টি ভোট
করেছেন (6,150 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

রাশিক আজমাইন-

একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে যে সব দেশে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে সে সব দেশ ঐ অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে ৷ ২০০৪ সালে উত্তর ভারত মহাসাগরীয় (আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর) ঘূর্ণিঝড়ের জন্য নামকরণের প্রথা চালু হয় ৷ ২০০৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়াবমার, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড নামকরণ করে ৷ শেষ নামটি ছিল আম্পান ৷ তবে ২০১৯ সাল শেষ হয়ে গেলে আম্পান চলে আসে ২০২০ সালে ৷ ২০২০ থেকে পরবর্তীয় সময়ের ঘূর্ণিঝড়গুলোর জন্য নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ৷ তাতে আগের দেশগুলোর সাথে সৌদি আরব, কাতার, ইয়েমেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) যুক্ত হয়েছে ৷ সমস্ত নাম ছবিতে দেওয়া হলো ৷

পদ্ধতি:

ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর দিয়ে থাকে ৷ তবে চাইলে শর্ত মেনে জনগণ নাম প্রস্তাব করতে পারবে ৷ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রস্তাব করে ৷ শর্তগুলো হলো:

(১) ছোট ও সহজবোধ্য নাম হতে হবে যেন একবার শুনে মুখস্ত হয়ে যায়,

(২) সংশ্লিষ্ট কোনো দেশের জন্য সংবেদনশীল হবে না (এ কারণে 'মহাসেন' নাম বদলে 'বিয়ারু' রাখা হয়, মহাসেন শ্রীলঙ্কার এক স্বনামধন্য রাজার নাম),

(৩) নামের অর্থ ভয়ানক, পরিবেশবিরোধী বা এমন কিছু হবে না যা পরে সমালোচনার কারণ হয় ৷

(৪) একই নাম দ্বিতীয়বার ব্যবহারযোগ্য নয় ৷

(৫) গৃহীত নামের তালিকা অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে একে একে নাম আসবে ৷

নামকরণের প্রয়োজনীয়তা

(১) প্রত্যেকটা ঘূর্ণিঝড়কে আলাদাভাবে চেনা যায়,

(২) কতটা শক্তিশালী হলো নাকি দুর্বল হলো, কবে কোথায় আঘাত হানবে ইত্যাদি জানতে সাহায্য করে,

(৩) স্বতন্ত্র নামের কারণে দ্বিতীয় পড়ার সম্ভাবনা নেই,

(৪) কিছু কিছু ঘূর্ণিঝড় নামের কারণে ঐতিহাসিক হয় ৷

নিচের তালিকা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর পরেরটার নাম হবে মানদউস, তারপর মোচা, তারপর বিপর্যয় এবং এভাবে চলতে থাকবে 

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+15 টি ভোট
1 উত্তর 1,259 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 916 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 484 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
2 টি উত্তর 368 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 771 বার দেখা হয়েছে

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

262,998 জন সদস্য

96 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 94 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. AletheaFunne

    100 পয়েন্ট

  3. RalphTrollop

    100 পয়েন্ট

  4. DarylBravo32

    100 পয়েন্ট

  5. AshleeHenega

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...