এটা আসলে শক্তির ক্ষয়কেই নির্দেশ করে!
ধরুন আপনি একটি চার্জার লাইট কিনলেন। খুব করে চার্জ করলেন৷ অর্থাৎ এর ভিতর অনেক বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চিত হয়েছে৷ তো যখন অন্ধকারে জালাবেন তখন প্রথমে অনেক আলো দিবে! কিন্তু সময় অতিক্রম হওয়ার সাথে সাথে আলো কমতে থাকবে, ও দীর্ঘক্ষণ জালানের পর তা বন্ধ হয়েও যেতে পারে? কিন্তু কেন? এ ব্যাপারটা হয়ত অনেক সহজেই বুঝে গিয়েছেন। কারণ চার্জ ফুরিয়ে গিয়েছে যতটুকু ছিল৷ এটা কেন বললাম? মনে হচ্ছে ধান ভানতে শিবের গীত? না আসলে এটা এজন্যই বললাম যেন এখন ব্যাপারটা বুঝতে সহজ হয়৷
আমাদের শরীরও একটি মেশিন! এর বিভিন্ন পার্টস আছে৷ আর শরীট চালানোর জন্যও জ্বালানীর প্রয়োজন হয়৷ এটা আসে খাদ্য থেকে৷ আর এই জালানি হলো শক্তি৷ আমাদের শরীর খাবার গ্রহণ করে এ শক্তি পেশিতে, যকৃতে সহ অনেক জায়গায় সঞ্চয় করে রাখে। যখন আমরা কাজ করি তখন ব্যায় হয়৷ কোনো কিছুকে ধরে বা ঝুলিয়ে রাখা বিজ্ঞানের ভাষায় কাজ না হলেও বাস্তবে শক্তির ব্যায়ের ফলেই আমরা সেটাকে ধরে রাখি৷ যখন শক্ত বেশি থাকে তখন আমরা যে বল প্রয়োগ করি সেটাকে কম মনে হয়৷ কিন্তু সময় অতিক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে যখন শক্ত কমে আসতে থাকে তখন এই বল প্রয়োগকে আমাদের কাছে কষ্টকর মনে হতে থাকে। কারণ তখন যে শক্তি লাগে ধরে রাখতে তা কমে যাচ্ছে । আর শরীর কিন্তু মেশিনের মত না ঠিক। কারণ মেশিন তার শেষ শক্তি দিয়ে হলেও সেটাকে ধরে রাখবে। কিন্তু শরীর এটা করবে না৷ আপনি চাইলেও না। কারণ শরীর তার অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকালাপ চালাতে যে শক্তি লাগে তা আগে সঞ্চয় করে তারপর বাকিটাকে ব্যায় করতে দেয়৷ একেবারে নিঃশেষ করে না৷ ফলে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও আমাদের শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় না৷ তাই কিছুক্ষণ পরেই ভারি লাগতে থাকে ও একসময় হাতে ব্যাথা চলে আসে!
যদিও বিজ্ঞান বলছে, যদি এটা চলতে থাকে তাহলে আপনার শরীর শক্তি বেশি সঞ্চয় করবে৷ তখন স্বাভাবিকভাবেই আপনি বেশি খাবেন তবে মোটা হবেন না কারণ শক্ত গুলো শক্তি হিসেবেই সঞ্চিত হচ্ছে৷ তবে আবার পরিশ্রম করা বন্ধ করে দিলে সেগুলোর ফলে মোটা হয়ে যাবেন৷ তাই হালকা পাতলা পরিশ্রম করা স্বাস্থ্য ও ফিট থাকার জন্য উপকারী !
ধন্যবাদ !
ক্রেডিট: জান্নাতুল ফেরদৌস (কোরা)