প্রথম ধাপে যে কাজটি করতে হবে তা হলো কিউটিকল পুশিং। নখের গ্রোথ বৃদ্ধির জন্যে নখের কিউটিকল পুশ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি কিউটিকল পুশারের সাহায্যে নখের কিউটিকলগুলো আস্তে আস্তে পুশ করতে থাকুন। একটু সাবধানে করবেন কাজটি। আর এই কাজটি আবার প্রতিদিন করতে যাবেন না। সপ্তাহে একদিন করলেই যথেষ্ট।
ধাপ ২
এই ধাপে যা করতে হবে, তা হলো – একটি নেইল সোকিং সল্যুশন তৈরি করতে হবে।
এজন্যে আমাদের যা যা লাগবে –
(১) অলিভ অয়েল – অলিভ অয়েল নখের ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং নখকে নারিশ করে। এতে রয়েছে ভিটামিনস যা, ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করে এবং নখের ড্যামেজ রোধ করে। এছাড়াও এটি নখের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
(২) লেবুর রস – লেবুর রস নখকে শক্ত করতে সাহায্যে করে, যার ফলে নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
(৩) লবন – লবন ব্যাক্টেরিয়া জনিত জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে।
(৪) গরম পানি।
সল্যুশনটি ব্যবহারের নিয়ম:
– একটি পরিষ্কার বোল নিয়ে এর মধ্যে গরম পানি ঢেলে নিন। পানিটা এমন গরম হবে, যার মধ্যে আপনি আপনার হাত চুবাতে পারবেন।
– এবার এর মধ্যে অর্ধেকটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টেবিল চামচ লবন মিশিয়ে নিন।
– হাতের আঙুলগুলো এই সল্যুশনে ডুবিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর হাতটা পরিষ্কার টাওয়ালে মুছে নিন। ধোয়ার প্রয়োজন নেই।
ধাপ ৩ (সিক্রেট রেসিপি)
৩য় যে ধাপটার কথা বলব তা হলো নেইল অয়েলিং। এজন্যে লাগবে মাত্র ৩ টি উপকরণ। এগুলো হলো –
(১) রসুন কোয়া – রসুন নখের গ্রোথের জন্যে খুব কাজের। এটি নখের গ্রোথকে বুস্ট করে। রসুনে আছে এ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যার ফলে নখের বৃদ্ধি হয় এবং এটি নখের ব্যাক্টেরিয়া জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
(২) অলিভ অয়েল – অলিভ অয়েল নখের ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং নখকে নারিশ করে। এতে রয়েছে ভিটামিনস যা, ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করে এবং নখের ড্যামেজ রোধ করে। এছাড়াও এটি নখের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
(৩) অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার।
নেইল অয়েলিং করার নিয়ম:
– ৩ কোয়া বড় রসুন নিয়ে এগুলো ভালোভাবে থেতলে নিন। এবার এর মধে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি একটি বোতলে ভরে নিন। এটি ১০ দিন নরমাল ফ্রিজে ভালো থাকবে।
– ২য় ধাপ অনুসরণর পর এই অয়েলটি নিয়ে নখে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন।
– এবার একটি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপার নিয়ে ছোট ছোট পাঁচটি টুকরা করে কেটে নিন। এই টুকরাগুলো প্রত্যেকটি আঙুলে নখের চারপাশে পেঁচিয়ে নিন। এভাবে ৩০ মিনিট রেখে দিবেন।
– ৩০ মিনিট পর যেকোনো মাইল্ড সোপ দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিয়ে হাত মুছে নেবেন।
প্রথম ধাপটি বলেছি সপ্তাহে একদিন করলেই চলবে। কিন্তু ২য় এবং ৩য় ধাপ কিন্তু প্রতিদিন ফলো করতে হবে। যদি দ্রুত লম্বা নখ চান, তবে আবারো বলছি প্রতিদিন ফলো করবেন।
আশা করছি ৭-১০ দিনের মধ্যেই আপনার কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পেয়ে যাবেন।
লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ