মানসিক স্বাস্থ্যের কখন, কী উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া লাগবে তা আমরা অনেক সময় বুঝতে পারি না। মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মেখলা সরকার বলেন, যখন কোনো ব্যক্তির আচরণ, ব্যবহারে বড় ধরণের পরিবর্তন দেখা যায়, বিশেষ করে তার আবেগীয় প্রকাশের পরিবর্তন আসে এবং সেটা তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে, সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে শুরু করে, তখনি তার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন,
মানসিক রোগের লক্ষণ হতে পারে:
১. হঠাৎ হঠাৎ করে বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠা।
২. অনেক দিন ধরে নিজেকে সবার কাছ থেকে সরিয়ে গুটিয়ে রাখা
৩. টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মন খারাপ থাকা
৪. অন্যদের সাথে একেবারে কথা বলতে না চাওয়া
৫. সবার সাথে ঝগড়া করা
৬. গায়েবি আওয়াজ বা কথা শুনতে পাওয়া
৭. অন্যদের অকারণে সন্দেহ করতে শুরু করা।
৮. গোসল বা দাঁত মাজার মতো নিয়মিত প্রাত্যহিক কাজ করা বন্ধ করে নিজের প্রতি যত্ন না নেয়া।
৯. যেসব কাজে আনন্দ পাওয়া সেসব কাজে নিরানন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া
১০. সামাজিক সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়া।
১১. নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা বা নিজেকে দায়ী মনে হওয়া।
১২. সবকিছুতে সিদ্ধান্তহীনতা বা মনোযোগ কমে যাওয়া এবং খুব তীব্র হলে আত্মহত্যার চিন্তা পরিকল্পনা ও চেষ্টা করে অতিরিক্ত শুচিবায়ুগ্রস্ত হয়ে ওঠা।
১৩. ঘুম অস্বাভাবিক কম বা বাড়তে পারে।
১৪. খাবারে অরুচি তৈরি হওয়া বা রুচি বেড়ে যাওয়া।
১৫. বাসার, অফিসের বা পেশাগত কাজের প্রতি অনীহা তৈরি হওয়া বা আগ্রহ হারিয়ে ফেলা
ডা. মেখলা সরকার বলেন, এই সমস্যাগুলোর মানেই যে তার মানসিক রোগ হবে, তা নয়। তবে এসব উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা গেলে একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলা উচিত। তারা সেটা বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারবেন যে, এখানে আসলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া উচিত কি না।
তথ্যসূত্র: বিবিসি