টেস্ট ক্রিকেটে সাধারণত ৫০ এর উপরে গড় থাকা ব্যাটসম্যানদেরকে গ্রেট ধরা হয়। টেস্টে ওনার ব্যাটিং গড় ছিল ৯৯.৯৪। ব্র্যাডম্যান খেলেছেন মাত্র ৫২টি টেস্ট। নূন্যতম ৫০টি টেস্ট খেলেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মাঝে পরবর্তী সেরা গড় হচ্ছে স্টিভেন (স্টিভ) স্মিথের (৬১.০৫)। ৫০টির উপর টেস্ট খেলেও ৬০ এর উপর গড় ধরে রাখতে পেরেছেন আর একজন ব্যাটসম্যানই, তিনি হলেন হার্বার্ট সাটক্লিফ।
মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি জীবনের প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নামেন। যখন মাঠ ছেড়ে বের হন, তখন নামের পাশে লেখা ৫৫ রান, অপরাজিত। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেকেই সেঞ্চুরি। পরের বছরেই তার টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক সিরিজে ৮০০ এর অধিক রান করার কীর্তি রয়েছে মাত্র ৯টি। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্র্যাডম্যান কাজটা করেছেন তিনবার।
১৯৩১ সালের একটি ম্যাচে ব্র্যাডম্যান সেঞ্চুরি করেছিলেন মাত্র ২২ বলে।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দিনেই লাঞ্চের আগে সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন মাত্র ৫ জন ব্যাটসম্যান, ব্র্যাডম্যান তাদের মাঝে একজন।
ক্রিকেট ইতিহাসের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে একদিনে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন ব্র্যাডম্যান।
ব্র্যাডম্যান টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন ২৯টি। একসময় টেস্টে এটিই সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল।
ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০টি ট্রিপল সেঞ্চুরি হয়েছে। চারজন ব্যাটসম্যান দুটো করে ট্রিপল করায় ট্রিপল সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানের সংখ্যা ২২। ব্র্যাডম্যান সেই মুষ্টিমেয় চারজনের মধ্যে একজন, যিনি কিনা দু'বার ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন।
টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম ইনিংসে দুই, তিন, চার, পাঁচ ও ছয় হাজার রান করার কৃতিত্ব ব্র্যাডম্যানের।
পারফেক্ট রান মেশিন টার্মটা সম্ভবত ব্র্যাডম্যানের সাথেই যায়। এমন সব কীর্তি জানার পর ব্র্যাডম্যানের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ তকমার উপযুক্ততা নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয়। অথচ ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান প্রথম টেস্ট খেলেই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। এখন ভাবতেও অবাক লাগে যে, স্বয়ং ব্র্যাডম্যানও পারফর্মেন্সের জন্য কোনো সময় বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু সব ক্রিকেটারকেই ভালো ও খারাপ দিন দুইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এতে তার ট্যালেন্ট বা কৃতিত্ব বিন্দুমাত্র কমে যায় না।