ঘুমের মধ্যে বোবায় ধরে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+13 টি ভোট
578 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (71,130 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (71,130 পয়েন্ট)

অনেকেই ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করে জেগে ওঠেন, শত চেষ্টা করেও হাত পা নাড়াতে পারেন না, অন্যদিকে শ্বাস নিতেও খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেকেই এসময় নিজের দেহ থেকে আত্মাকে আলাদা হয়ে যেতে দেখেন, কেউ ভূত-জীন-পরী ইত্যাদি দেখে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন এমন হয়?
আসলে আমাদের মস্তিষ্ক বেশ জটিল একটি অঙ্গ। আর বুদ্ধিমত্তা ও চেতনা বিষয়টাকে আমরা যেমন একটি আলাদা জিনিস ভাবি বিষয়টা তেমন নয়। এই যে আমি বলে ভাবছি- আমি খাচ্ছি, আমি হাটছি, আমি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি- এই আমি আসলে অনেকগুলো প্রক্রিয়ার একটা সম্মন্নিত রূপ। এই আমি থেকে এক একটি উপাদান যদি বাদ দেওয়া হয় তখন আপনি আর এই আপনি থাকবেন না। যেমন স্বপ্ন দেখার সময় আপনার যৌক্তিক চিন্তা করার অংশটা বন্ধ থাকে বলে আপনি গাড়ি নিয়ে অনায়াসে উড়ে যান। সেই আপনিও যেন একটু কেমন যেন, ঠিক দিনের বেলার আপনি না। অদ্ভুত সব কাজ করেন, আর আপনার চারপাশের দৃশ্যও থাকে অদ্ভুত।
আবার আমাদের মস্তিষ্কের অনেকগুলো বিপরীতধর্মী দুই অংশ একই সাথে কাজ করে বলে আমরা মানুষরা অনেক স্ববিরোধী কাজ করি। নিজেদের জন্য ক্ষতিকর অনেক কাজ করি, নিজেদের জন্য লাভজনক অনেক কাজ করি না। বাড়িতে থাকা বউকে অনেক ভালবাসি, কিন্তু তাকে রেখে আরেক সুন্দরীর সাথে প্রেমও করি। সেই প্রেম করার সময় আবার বাড়িতে রাখা বউয়ের জন্য মায়াও লাগে। মনে হয় কাজটা ভাল হচ্ছে না। এমন হয়, কারন আপনার মস্তিষ্কের সরীসৃপ অংশ (reptile cortex) আপনাকে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ঠেলে দেয়। কিন্তু পাইমেট ব্রেইন বা নিওকর্টেক্স আপনাকে এটাও বলে যে এটি পারিবারিক বন্ধনের জন্য ক্ষতিকর।
আমাদের ঘুমের বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। বিভিন্ন পর্যায়ের মস্তিষ্কের আলাদা আলাদা অংশ সক্রিয় থাকে। স্বপ্নহীন ঘুমের মধ্যে তেমন কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু স্বপ্নযুক্ত ঘুমের সময় যদি আমরা পিঠের উপর ভর দিয়ে শুয়ে থাকি তাহলে অনেক সময় আমাদের শ্বাসনালী দিয়ে বাতাস নিতে সমস্যা হয়। তখন অনেক ক্ষেত্রে আমাদের মস্তিকের সতর্কীকরন ব্যবস্থা আমাদের মস্তিষ্ককে একটু জাগিয়ে দেয়। এতে যদি আমরা পাশ ফিরে শুই, বা নড়াচরা করি তাহলে অনেক সময় এই শ্বাসের সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় তা ঠিক হয় না। তখন আমাদের মস্তিক্স এভাবে দুই তিন বারের সতর্কের ফলে প্রায় পুরোপুরি জেগে যায়। কিন্তু ঘুমের সময় আমাদের ইচ্ছেমত নড়াচড়া করার অংশটা অনেক ক্ষেত্রেই এ্যাকটিভ হয় না। তখনই শুরু হয় বোবায় ধরা। কারন আপনার মস্তিষ্ক তখন স্বপ্ন দেখার স্টেজে, তাই আপনি ভূত প্রেত সহ যেকোনো আজব কিছুই দেখতে পারেন, হয়ত শুয়ে শুয়ে গাড়িও চালতে পারেন। কারন আপনার যুক্তির অংশটা কাজ করছে না। কিন্তু আপনার মস্তিক্সের প্রায় অনেকটাই আবার জেগে আছে, তাই আপনি যে আপনি, সেই চিন্তাটা সচেতনভাবে করতে পারেন। অন্যদিকে আপনার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এর ফলে মস্তিক্সের ভয় সেন্টার এ্যাকটিভ হয়ে যায়। আর সবচেয় বড় সমস্যা হলো- আপনি চাইলেও আপনার হাত পা নাড়াতে পারেন না। কারন মস্তিক্সের সেই অংশটি এখন অফ আছে।
মূল কথা হলো- এই বোবায় ধরা এমন একটি অবস্থা, যখন আমাদের শ্বাসকষ্ট হয় এবং তার কারনে মস্তিষ্কের বেশ কিছু অংশ এ্যাক্টিভ থাকে কিন্তু আবার প্রয়োজনীয় বেশ কিছু অংশ এ্যাক্টিভ না থাকার কারনে আমাদের এক ধরণের অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতা হয়।
তথ্যসূত্রঃ Cheyne, J.; Rueffer, S.; Newby-Clark, I. (1999). "Hypnagogic and Hypnopompic Hallucinations during Sleep Paralysis: Neurological and Cultural Construction of the Night-Mare". Consciousness and Cognition. 8 (3): 319–337.

0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
সামান্থা আফরিনের মতে, বোবায় ধরা বা স্লিপ প্যারালাইসিস হল গভীর ঘুম ও জাগরণের মাঝামাঝি একটি স্নায়ুজনিত সমস্যা। ... রেম হল ঘুমের এমন একটি পর্যায় যখন মস্তিষ্ক খুব সক্রিয় থাকে এবং এই পর্যায়ে মানুষ স্বপ্ন দেখে থাকে। কিন্তু সে সময় শরীরের আর কোন পেশী কোন কাজ করেনা। এ কারণে এসময় মস্তিষ্ক সচল থাকলেও শরীরকে অসাড় মনে হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,631 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 406 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 315 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 276 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
1 উত্তর 531 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,626 জন সদস্য

127 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 125 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. Vaughn716910

    100 পয়েন্ট

  5. ArtCarnevale

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...