এই প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স এর মাধ্যমে ছবি থেকে চেহারা হুবুহু নকল করতে সক্ষম। দুর্ভাগ্যজনভাবে এই প্রযুক্তি এখন খারাপ লোকদের হাতে। Deep Fake Technology দিয়ে এখনো পর্যন্ত যতগুলো কাজ হয়েছে তার ৯৬% ই পর্ণোগ্রাফি। আপনার একটি ছবি ব্যবহার করে তারা কোন নগ্ন মানুষের মুখের সাথে একেবারে নিখুঁত ভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারবে। এটি এখনো পর্যন্ত ১ লক্ষের অধিক মেয়ের জীবন ধ্বংস করেছে। তাই যারা এখনো নিজের ছবি ফেসবুক-ইন্সাগ্রাম এ দিয়ে রেখেছেন তারা দ্রুত ছবিগুলো সড়িয়ে নিন কোন ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগে। যারা এ ব্যাপারে জানেনা তাদের জানিয়ে দিন।
একটি দৃশ্য কল্পনা করুন। অন্যান্য দিনগুলোর মতোই স্বাভাবিকভাবে আপনার দিন কাটছিল। হঠাৎ কাছের একজন মানুষ ইন্টারনেটে আপনাকে একটি ভিডিও পাঠায়। ভিডিওটি চালু করার পর আপনি রীতিমতো আকাশ থেকে পড়লেন। এটি একটি অশ্লীল ভিডিও এবং ভিডিওর মানুষটি আপনি নিজেই। আপনার কাছে এটা একেবারে স্পষ্ট যে, এমন কোনো ভিডিওতেই আপনি নেই। কিন্তু ভিডিওর মানুষটি দেখতে অবিকল আপনার মতো। চোখ, নাক, হাসি, গলার স্বর হুবহু এক। এখন মানুষ কি আপনার কথা বিশ্বাস করতে চাইবে? আপনার আপনজনেরাই বা কীভাবে এর ব্যাখা করবে? খুব দ্রুত এই আপত্তিকর ভিডিও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। পরিবার ও সমাজে আপনি মুখ দেখাতে পারছেন না। অথচ এখানে আপনার কোনো দোষই নেই।
ফটোশপ ও অন্যান্য কিছু সফটওয়্যার আসার পর থেকে ইচ্ছামতো ও নিখুঁতভাবে নকল ছবি তৈরি করা যায়। তবে নকল ভিডিও বানানো অতটা সহজ ছিল না। ছবিতে একজনের মাথা কেটে অন্য জায়গায় বসানো যতটা সহজ, ভিডিওর ক্ষেত্রে তা ততটা সহজ নয়। কারণ মানুষের গলার আওয়াজ, অভিব্যক্তি, তাকানোর ধরন ইত্যাদি হুবহু নকল করা যেত না। এটি অসম্ভব ছিল একটি নতুন প্রযুক্তি আসার আগ পর্যন্ত।
নকল ভিডিও বানানোর এই প্রযুক্তির নাম ডিপফেক বা ডিপফেক টেকনোলজি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোনো মানুষের হুবহু নকল ভিডিও বানানো সম্ভব। মেশিন লার্নিংয়ের প্রয়োগ ঘটানোর মাধ্যমে দিন দিন এই অভিশপ্ত প্রযুক্তিটি আরো নিখুঁতভাবে নকল ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে।
সংগৃহীত