সপ্তাহে অন্তত একদিন শ্যাম্পু করার আগে গরম তেল দিয়ে চুলে আর স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। আমন্ড অয়েল, নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল বা অ্যাভোকাডোর মতো প্রাকৃতিক তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়, চুলের রুক্ষতা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত স্ক্যাল্প মাসাজ করলে রক্ত সংবহন বাড়ে, চুলের ঘনভাব ফিরে আসে।অয়েল মাসাজের মতো ড্রাই মাসাজও চুলের জন্য উপকারী। প্রতি রাতে শুতে যাওয়ার আগে আঙুলের ডগা দিয়ে স্ক্যাল্পটা এমনি মাসাজ করুন। এতেও স্ক্যাল্পে রক্ত সংবহন বাড়বে, চুলের গোছা বাড়বে।
ক্যাস্টর অয়েল, পেঁয়াজের রস, অ্যালোভেরা জেল, নারিকেল তেলের মতো সাধারণ উপাদানে এমন অজস্র ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা পাতলা চুল ঘন করতে ভীষণ কার্যকরী। এসব উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিন আপনার নিজস্ব হেয়ার মাস্ক। চুলে আর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলেই চুল ধীরে ধীরে ঘন হতে শুরু করবে।যত্ন নেয়ার পাশাপাশি নজর দিন খাবারেও। ডিম, মাছ, দুধ, দই বা ছানা নিয়মিত খেতে হবে। ব্রকলি, পালং, বাঁধাকপির মতো সবুজ শাকসবজি চুলের কেরাটিন মজবুত করে চুল ঘন করে তোলে। কমলা, স্ট্রবেরি, পেয়ারার মতো ফল প্রতিদিন খান।
ভালো শ্যাম্পু, তেল, কন্ডিশনার আপনার চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। চুল ওঠা, খুসকি, শুষ্কতার মতো সমস্যা কমিয়ে চুল ভালো রাখতে ভল্যুমাইজিং শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।