Acrophobia (অ্যাক্রোফোবিয়া)
Acrophobia হল মূলত উচ্চতাভীতি। উঁচু স্থান,টাওয়ার
সেতু ইত্যাদিকে ভয় পাওয়া।
উঁচু দালানে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকাতেই ভয় হতে লাগা,অস্থিরতা বেড়ে যাওয়া মূলত অ্যাক্রোফোবিয়ার লক্ষন। যেখানে ব্যক্তির মনে উচ্চতা এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে দীর্ঘ সময় ধরে অযৌক্তিক, তীব্র ভয় কাজ করে। অতিরিক্ত ভয় ও উদ্বেগের কারণে উঁচু কোনো জায়গা থেকে নেমে আসাটাও তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
অ্যাক্রোফোবিয়াক ব্যক্তিরা উঁচু জায়গা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। উঁচু স্থানে গেলে বা যাওয়ার আশঙ্কা করলে তাদের সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয়ে ওঠে, যার কাজ শরীরকে জরুরী অবস্থার জন্যে প্রস্তুত করে তোলা। এর ফলে শরীর আসন্ন বিপদের মোকাবেলা করা অথবা তা থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্যে তৈরি হয়, সাধারণভাবে যা ‘ফাইট-অর-ফ্লাইট রেসপন্স’ নামে পরিচিত।
এই সময়ে ব্যক্তিটির মাথা ঘোরানো, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ঘাম হওয়া, কাঁপুনি এবং বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারেন।এমনকি অনেক সময় ব্যক্তিটি শ্বাসকষ্ট,নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারা বা মৃত্যুভয়েও আচ্ছন্ন হয়ে পড়তে পারেন।
মানুষের মধ্যে উচ্চতাভীতি গড়ে ওঠার কারণ দু’ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, বিবর্তনমূলক এবং আচরণমূলক।
বিবর্তনমূলক মনোবিজ্ঞান অনুসারে, ভয় হচ্ছে মানুষের জন্মগত বা সহজাত প্রবৃত্তি। আক্রান্ত ব্যক্তিরা যে কোনো উপায়ে বিপজ্জনক উঁচু এলাকা এড়িয়ে চলেন। ফলে তারা বিপদ আপদ থেকে মুক্ত থাকে। টিকে থাকে এবং পরবর্তীতে বংশ বিস্তার করে। আর এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তাদের মধ্যে জিন বাহিত হয়ে চলে।
বিহেভিয়ারিস্টরা মনে করেন,ভয় সহজাত বা জন্মগত প্রবৃত্তি নয়,বরং আমরা ক্ল্যাসিক্যাল কন্ডিশনিংয়ের মাধ্যমে ভয় পেতে শিখি। উদাহরণসরূপ ধরা যাক, একজন ব্যক্তি প্রথমবারের মত গাছে চড়েছেন। গাছে চড়ার পর স্বাভাবিকভাবে ঐ উচ্চতায় তিনি হয়তো ভয় অনুভব করবেন না। কিন্তু দুর্ঘটনাক্রমে তিনি যদি গাছ থেকে পড়ে যান, তাহলে গাছে চড়ার ব্যাপারে তার মনে এক ধরনের আতঙ্কের সৃষ্টি হবে। উঁচুতে ওঠার পর পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার এই অভিজ্ঞতা তাকে উচ্চতার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করবে।
পৃথিবীর প্রায় ২৩ মিলিয়ন মানুষের উচ্চতাভীতি রয়েছে।
উত্তরকারীঃ Afsana Afrin