স্নায়ুযুদ্ধ মূলত দুটি দেশের ভিন্ন বিশ্বাস আর মতাদর্শের সংঘর্ষ. স্নায়ুযুদ্ধ শব্দটি ১৯৪৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কুটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক বর্ণনা করতে ব্যবহার করা হতো. এই দুটি দেশ কখনো একে অপরের সাথে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেনি, কিন্তু এই দীর্ঘ সময় তারা নিজ নিজ রাষ্ট্রের আদর্শ স্থাপনের জন্য পরোক্ষভাবে লড়াই করে গেছেন নানা রকম হুমকি, সামরিক শক্তি বৃদ্ধি, গোয়েন্দা তত্পরতা, মহাকাশ গবেষণা, আর বিভিন্নদেশে নিজ নিজ আদর্শ স্থাপনার নামে কুটনৈতিক ও সামরিক হস্তক্ষেপ প্রভাবিত করে. স্নায়ু যুদ্ধ রক্তক্ষয়ী নয়, এই যুদ্ধে কখনো শান্তি সম্ভাবনা ভেস্তে যায় না, আর দুটি দেশের সৈন্যবাহিনী পকৃত যুদ্ধে জড়িয়ে না পরে সবসময় একটা স্নায়ু চাপের মাঝে থেকে একে অপরকে পাহারা দেয় আর সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে. মার্কিন সোভিয়েত স্নায়ু যুদ্ধের সময় বিশ্ব স্পষ্টত বিরোধিতা পূর্ণ দুটি ব্লক এ বিভক্ত ছিল এবং দুটো ব্লকের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক একটি জটিল প্যাটার্ন সামঞ্জস্য লড়াই আর অবিশ্বাস নিয়ে থাকত সবসময়. নিরপেক্ষ ইতিহাস বিশেষজ্ঞরা স্নাযুযুধের জন্য মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউরোপের মধ্যে নিজের সামরিক, আদর্শিক আর অর্থনৈতিক অবস্থান বিস্তার আর সরাসরি অন্য দেশে সোভিযেত সামরিক অবস্থানকে দায়ী করে থাকে. ৯০ এর দশকের ইস্টার্ন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কমুনিসম এর পতন, বার্লিন ওয়াল ধংশ, আর সবশেষে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যায়।
শাকিল সায়েদ