মানুষের সব অঙ্গে ক্যান্সার হয় কিন্তু হৃদপিণ্ডে কেন হয় না? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
479 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (135,490 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,490 পয়েন্ট)

 সোজা বাংলায়, অন্যান্য অঙ্গে ক্যান্সার হলেও হৃদপিণ্ডে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

image

কিন্তু হার্টের প্রতি এই পার্সিয়ালিটি কেন? হৃদস্পন্দন বজায় রেখে আমাদের জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার গুরুদায়িত্ব কাঁধে রয়েছে বলেই কি এই অতিরিক্ত সুবিধা? মোটেই না। এর আসল কারণটা লুকিয়ে রয়েছে হৃদপিণ্ডের একটি বিশেষ কোষ, কার্ডিওমায়োসাইটের মধ্যে। তার আগে জেনে নেওয়া যাক, কোষ বিভাজন বা সেল সাইকেল কাকে বলে।

জন্মের সময় মায়ের কোলে থাকা ছোট্ট বাচ্চাটা কিভাবে বড় হয়ে যায় ভাবতে গেলেই যে জিনিসটি সবার আগে বিবেচ্য তা হলো কোষ বিভাজন বা সেল ডিভিশন। সেল ডিভিশনের মাধ্যমে একটা কোষ থেকে দুটো, দুটো থাকে চারটে, চারটে থেকে আটটা এইরকম সমানুপাতিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং সেই কারণেই ছোট্ট শিশুটির চেহারা ও প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বৃদ্ধি হয়।

image

এই যে কোষ বিভাজন, এটা কিন্তু নেহাত ফেলনা ঘটনা নয়। রীতিমতো কড়া সার্ভিলেন্সে এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এতটুকু এদিক ওদিক হবার যো নেই। ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করে বলা যাক। মনে করুন, আপনি এয়ারপোর্টে গিয়েছেন। আর যদি নাও বা গিয়ে থাকেন, কুছ পরোয়া নেই। আমি আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। প্রথমে যেতেই এয়ারপোর্টের গেটে আপনার পরিচয় প্রমান করতে হবে বিভিন্ন ফটো আই-ডি প্রুফের মাধ্যমে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তবে আপনার ভিতরে যাওয়ার অনুমতি মিলবে। এইবার আপনার লাগেজ ভেরিফিকেশনের পালা। সেটাও যদি ঠিক থাকে অর্থাৎ ওজন কত বা আপনি কিছু নিষিদ্ধ বস্তু নিয়ে যাচ্ছেন কিনা তা যাচাই করার পর আপনার দ্বিতীয় ধাপ সম্পূর্ণ হবে। এইবার সব শেষে সিকিউরিটি চেকইন অর্থাৎ আপনি নিজের সাথে কিছু বেআইনি জিনিসপত্র রেখেছেন কিনা তা পরখ করার সময়। এই সমস্ত ধাপ যদি আপনি নিয়মমাফিক ভাবে সম্পূর্ণ করতে পারেন তাহলেই প্লেনে চড়ার অনুমতি মিলবে নচেৎ নয়। কোষ বিভাজন ব্যাপারটাও একদম তাই। কোষ বিভাজনের চারটি ধাপ। প্রথম ধাপ হলো কোষের মধ্যে থাকা DNA এর প্রতিলিপিকরণ বা রেপ্লিকেশনের জন্য প্রস্তুতিপর্ব। একে বলে G1 Phase. অর্থাৎ রান্না করার আগে বাজার করার পর্ব আর কি। এরপর হলো আসল রান্নার পর্ব অর্থাৎ DNA রেপ্লিকেশন ফেস। একে বলে S Phase. এই সময় একটি DNA থেকে দুটি নতুন DNA তৈরি হয়। এর পরবর্তী হলো G2 Phase, যা কোষটির নিউক্লিয়াসের সামগ্রিক বিভাজনের প্রস্তুতি পর্ব। আর সবশেষ হলো M Phase বা মাইটোটিক Phase যখন কোষের নিউক্লিয়াসটি সম্পূর্ণ ভাবে বিভাজিত হয়ে দুটি নতুন নিউক্লিয়াস তৈরি হয়। ব্যাস, বাকি পরে রইল সাইটোপ্লাজম। শেষে তাও বিভাজিত হয়ে দুটো নতুন কোষ তৈরি হয়ে গেল। কি মজার ভাবুন।

এই যে G1, S, G2 এবং M চারটে দশার (Phase) কথা বললাম, এই প্রতিটা দশার শেষে মোতায়েন করা রয়েছে এক একজন কড়া প্রহরী, ঠিক এয়ারপোর্টের মতো। এদেরকে বলা হয় চেক পয়েন্ট। তাদের প্রত্যেকের কাজ হল, প্রতিটা সেল সঠিকভাবে সমস্ত নিয়ম মেনে এই ধাপগুলো সম্পূর্ণ করছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা।

image

DNA রেপ্লিকেশনের সময় আমাদের মতো সেলও কিন্তু careless mistake করতেই থাকে। কিন্তু তার জন্য রয়েছে খুব দক্ষ প্রুফ রিডিং সিস্টেম যা সেলের মধ্যে থাকা ভুল নিমেষে সংশোধন করে দেয়। কিন্তু তাও যদি ভুল থেকে যায়? অথবা এই যে এত দূষণ, এত ভাইরাস ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ অথবা বিভিন্ন কেমিক্যালের কুপ্রভাবে যদি সেল নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে উপায়? তাহলে কি সেই খারাপ সেল থেকেই জন্ম নেবে আরো দুটো খারাপ সেল? একদমই না। ওই যে চারজন প্রহরী আছে, তারা তখন ফিল্ডে নেমে পড়বে এবং বাজে সেল গুলো আর যখন সংশোধনের জায়গাতেই থাকবে না তখন তাকে ফাঁসির আসামিদের মতো মেরে ফেলা হবে। একে বলা হয় না নেক্রোসিস। আর যদি বার্ধক্যজনিত কারণে সেলটির মৃত্যু ঘটে তখন বলা হয় এপোপটসিস (appoptosis)। মানে ওই স্বাভাবিক মৃত্যু আর অপঘাতে মৃত্যুর মতো ব্যাপারটা। কিন্তু কোনো কারণে যদি সেল এর ওই সিকিউরিটি সিস্টেমটা কাজ না করে তখনই হয়ে যায় বিপদ। আজেবাজে সমস্ত সেল G1, S, G2 সমস্ত ফেস পার করে বিভাজিত হয়ে আরো দুটো খারাপ সেল এর জন্ম দেয়। আর এই অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনই হলো টিউমার এবং ক্যান্সারের প্রধান কারণ।

image

তাহলে, বুঝতে পারলেন তো সেল সাইকেল আমাদের জীবনে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। পরেরবার থেকে মনখারাপ হলে, আপনার শরীরের এই লক্ষ কোটি সেলের কথা একবার মনে করবেন। ভাবুন তো, আপনাকে সুস্থ রাখার জন্য তারা অনবরত কত পরিশ্রম করছে।

এইবার ফিরে আসি মূল প্রশ্নে। আমাদের হৃদপিণ্ডের সেল কার্ডিওমায়োসাইট খুব তাড়াতাড়ি টার্মিনালি ডিফারেনশিএটেড হয়ে যায়। অর্থাৎ অন্যান্য অঙ্গের সেলদের মতো এরা আর বিভাজিত হতে পারে না। সাইজে বৃদ্ধি পেলেও সাধারণত এদের সংখ্যা আর বৃদ্ধি পায় না, কিছু ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া। এবং এই ফেসকে বলা হয় G0 Phase. আর যেহেতু সেল সাইকেল নেই তাই চেকপয়েন্টও নেই। চেকপয়েনটের সমস্যাও নেই আর ক্যান্সারও নো চান্স।

 

 

collected 

করেছেন (140 পয়েন্ট)

লেখা চুরি করে বড়ো জ্ঞানি  হওয়া যায় না। কোথা থেকে কালেক্ট করেছেন তার উল্লেখ নেই। একটা লেখা লেখতে ৪-৫দিন লাগে আপনি হুট করে কপি পেস্ট করলেন আর লিখে দিলেন কালেক্টেড। এখন থেকে কপি পেস্ট করার আগে লিংক উল্লেখ করবেন। নির্লজ্জ কুম্ভিরোকবৃত্তিকারী বাঙ্গালির লজ্জা কবে হবে।

লিংক

 

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
5 টি উত্তর 464 বার দেখা হয়েছে
15 এপ্রিল 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন হায়াত (20,400 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 7,820 বার দেখা হয়েছে
+12 টি ভোট
5 টি উত্তর 741 বার দেখা হয়েছে
+14 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,902 বার দেখা হয়েছে

10,807 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

517,837 জন সদস্য

85 জন অনলাইনে রয়েছে
16 জন সদস্য এবং 69 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

    1280 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    370 পয়েন্ট

  3. Fatema Tasnim

    340 পয়েন্ট

  4. _Polas

    160 পয়েন্ট

  5. Arnab1804

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা মস্তিষ্ক ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...