যদি ভর আর শক্তি একই জিনিস হয়, তাহলে শক্তিকে ভরে রূপান্তরিত করার চেয়ে ভরকে শক্তিতে রূপান্তরিত করা সহজ কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
504 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব অনুযায়ী, আপেক্ষিকভাবে স্থির একটি বস্তুর মধ্যেকার সম্পূর্ণ শক্তিই হল ‘ভরশক্তি’। এর মধ্যে তথাকথিত ‘ভর’ (নিউটনীয় অর্থে), তাপশক্তি, তড়িৎশক্তি, রাসায়নিক শক্তি- যা-ই থাকুক না কেন সবমিলিয়েই হয় তার ‘ভরশক্তি’। বস্তুটিকে গরম করলে তার ‘ভরশক্তি’ বাড়ে; ঠাণ্ডা করলে ‘ভরশক্তি’ কমে। এই নামটি যেহেতু এতটা confusing, তাই এই শক্তিকে ‘স্থিরশক্তি’ (Rest energy) বলাই সবচেয়ে ভাল কারণ এটি তাইইঃ আপেক্ষিকভাবে (অর্থাৎ একজন পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে) স্থির একটি বস্তুর সামগ্রিক শক্তি। একে ‘স্থিরভর’ও বলা যায় কিন্তু অর্থটা ওই একই; তফাৎ শুধু মান-এ। রূপী আর ডলার যেমন উভয়েই currency, তফাৎ শুধু একটি conversion factor এ [১ ডলার= ~৭০ রূপী] তেমনই ‘স্থিরভর’ আর ‘স্থিরশক্তি’- উভয়েই শক্তি, তফাৎ শুধু একটি conversion factor এ [স্থিরশক্তি= c^2 x স্থিরভর যেখানে c= আলোর বেগের মান ( এখানে আলোর বেগ কোত্থেকে এলো তার জন্য আলাদা উত্তর লিখতে হবে তবে এটা বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের গণিত থেকেই উঠে আসে। একে conversion factor মনে করলেই চলবে)]।

‘ভর থেকে শক্তি’ বা ‘শক্তি থেকে ভর’ রূপান্তর বলতে তাহলে আসলে যা বোঝানো হয় তা হলঃ ভরশক্তি/স্থিরশক্তি/স্থিরভর থেকে শক্তির অন্য কোন রূপে (যেমন তাপশক্তি বা গতিশক্তি) রূপান্তর অথবা শক্তির অন্য কোন রূপ থেকে ভরশক্তি/স্থিরশক্তি/স্থিরভর-এ রূপান্তর।

এর মধ্যে প্রথমটি নিউক্লীয় বোমায় বা নিউক্লীয় চুল্লীতে ঘটে থাকে। সেখানে কোনও পদার্থের মধ্যেকার কিছুটা স্থিরশক্তি নিউক্লীয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে তাপশক্তি ও উৎপন্ন কণাদের গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। c এর মানটি অনেক বড়= ৩০০০০০০০০ (SI পদ্ধতিতে) [একক ব্যবহার করলাম না সহজ রাখার জন্য]। এর বর্গ (square) আরও অনেক বড়= ৯০০০০০০০০০০০০০০০০। এই কারণেই আপাতদৃষ্টিতে ‘সামান্য’ স্থিরভর মানে আসলে বিরাট পরিমাণ স্থিরশক্তি। তাই সামান্য পরিমাণ পদার্থ থেকেই বিরাট পরিমাণ তাপশক্তি (ও অন্যান্য শক্তি) উৎপন্ন করা যায় পরমাণু বোমা বা নিউক্লীয় চুল্লীতে।

অপরদিকে, উলটো প্রক্রিয়াটিও রোজই ঘটছে কণা পদার্থবিদ্যা (Particle Physics) গবেষণাকেন্দ্রগুলিতে কণাত্বরক যন্ত্রে (Particle accelerator)। এই মুহূর্তে সবচেয়ে শক্তিশালী এরকম যন্ত্র হল জেনেভায় অবস্থিত CERN এর LHC। যেহেতু স্থিরভর= স্থিরশক্তি/c^2 তাই ক্ষুদ্র অবপারমাণবিক কণা সৃষ্টি করতেও প্রচুর শক্তি দরকার হয়। সাধারণভাবে সেই পরিমাণ তাপশক্তি বা গতিশক্তি পাওয়া যায় না তাই Particle accelerator এ কণাদের accelerate করে গতিশক্তি অনেক অনেক বাড়িয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটিয়ে সেই শক্তি থেকে অন্যান্য নতুন সৃষ্টি হওয়া কণা পাওয়া যায় যেখানে গতিশক্তি> তাপশক্তি> ভরশক্তি রূপান্তর ঘটে। আপাতদৃষ্টিতে ‘সামান্য’ ভর সৃষ্টির জন্য অনেক বেশী পরিমাণ গতিশক্তি প্রয়োজন হয় বলেই এই প্রক্রিয়াটি তুলনামূলক কঠিন ও বিরল। কিন্তু প্রতিনিয়তই গবেষণাকেন্দ্রগুলিতে ঘটানো হয়। আর প্রকৃতিতেও সর্বদাই ঘটছে (যেমন মহাকাশ থেকে যে মহাজাগতিক রশ্মি বা Cosmic Ray আসে তা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং এ থেকে মেসন ও অন্যান্য কণা সৃষ্টি হয়)।

 

সংগৃহীত
0 টি ভোট
করেছেন (9,610 পয়েন্ট)
ভর হলো আটকে পড়া শক্তি।

 ফিশন বিক্রিয়া ঘটিয়ে ভরকে মুক্ত করে দিলে শক্তি পাওয়া যায়।

অপরদিকে, শক্তিকে আবদ্ধ করে আটকে রাখা কষ্টসাধ্য।

তাই শক্তিকে ভরে রূপান্তর করা কঠিন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+14 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,497 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
12 টি উত্তর 1,138 বার দেখা হয়েছে
27 জানুয়ারি 2022 "আইকিউ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,200 পয়েন্ট)

10,750 টি প্রশ্ন

18,403 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

244,081 জন সদস্য

19 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 19 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    1380 পয়েন্ট

  2. shuvosheikh

    330 পয়েন্ট

  3. তানভীর রহমান ইমন

    160 পয়েন্ট

  4. unfortunately

    120 পয়েন্ট

  5. Muhammad_Alif

    120 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো #ask মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য #science প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #biology বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বাংলাদেশ বিড়াল
...