একদম ক্ষতি কমানো যাবে না কখনোই। তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন :
ডিসপ্লের ওপর একটি আলাদা করে স্ক্রিন প্রটেক্টর গ্লাস লাগাই সেগুলো বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, এইগুলি চোখের জন্য কতটা নিরাপদ সেটা যাচাই করা দরকার।
ফ্রন্ট সহজ সেটিং এ ফ্রন্ট সাইজ খুব ছোট থেকে বড় সাইজ থাকে, তাই চোখের ওপর চাপ না পড়ে তাই ফ্রন্ট সাইজ বড় রাখতে চোখের উপর প্রেসার কম পড়ে।
মোবাইলে যদি ব্লু লাইট ফিল্টার অ্যাপ থাকে তাহলে সেটা অন রাখতে হবে। না হলে blue light filter অ্যাপ টি ডাউনলোড করে সেটিং করে নিয়ে ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতি কম হয়।
ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কম রাখা।
মোবাইলে রিডিং মুড অপশন থাকলে কোন লেখালিখি পড়া বা লেখার সময় চালু রাখা।
মোবাইল অন্ধকারে জায়গায় ব্যবহার না করে একটু আলোকিত জায়গায় ব্যবহার করা উচিৎ কারণ যখন আমরা কোনো মোবাইল অন্ধকারে ব্যবহার করি তখন ডিসপ্লে থেকে আলো সরাসরি চোখে এসে পড়ে। যা চোখের অনেকটা ক্ষতি করে। বেশিক্ষণ এমন চললে মাথা যন্ত্রণা, চোখ দিয়ে জল পড়া এ সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তাই, রাতে আপনি যখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি তখন একটি লাইট জ্বালিয়ে রাখলে এতে করে স্মার্টফোনের ডিসপ্লে থেকে নির্গত আলো সরাসরি চোখের ক্ষতি করে না
শুয়ে একপাস ফিরে ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে তাই এক পাশ ফিরে না শুয়ে চিৎ হয়ে শুয়ে বা বসে বা দাঁড়িয়ে ব্যবহার করা উচিৎ। এতে চোখের উপর চাপ কম পরে ও চোখের ক্ষতি কম হয়।
অনেক মোবাইলের অ্যান্টি-গ্লোযার স্ক্রিন লাগানো থাকে আবার অনেকেই মোবাইলে অ্যান্টি-গ্লোযার স্ক্রিনগুলি না থাকায় আলাদা করে ব্যবহার করে যদিও এগুলি ব্যয়বহুল নয় তবে এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এতে চোখে যে নীল আলোর রশ্নির পরিমাণ অনেকটা হ্রাস করে।
মোবাইল ব্যবহারের সময় নোংরা, তেলতেলে ভাব ডিসপ্লের গ্লাসে থাকার জন্য মোবাইলে কিছু দেখতে খুব অসুবিধা হয়। তাই মাঝে মাঝে ডিসপ্লে পরিষ্কার করা উচিৎ।
একটি দূরত্ব রাখা উচিৎ, খুব কাছে থেকে দেখলে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যদি চোখে অস্বস্তি লাগে তাহলে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখা দরকার অথবা দূরে দিকে দেখা ৩০ সেকেন্ড অথবা ১ মিনিটের জন্য।এতে চোখ কিছুক্ষনের জন্য বিশ্রাম পেতে পারে।।
[কোরা, গুগল ও টুডে অবলম্বনে]