কীভাবে এলো এই গুজবাম্পস
গুজবাম্পস আমাদের পূর্বপ্রজাতি থেকে পাওয়া একটি শারীরবৃত্তীয় ঘটনা। কিন্তু এতে তারা যতটা উপকৃত হত আমরা ততটা হই না। প্রাণীদের শরীরে লোমের স্তর অনেক মোটা হওয়ায় তারা গুজবাম্প হলে গরমের সময় ঠাণ্ডা থাকতে পারত এবং ঠাণ্ডায় তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারত। আমাদের শরীরে পশমের স্তর খুবই পাতলা হওয়ায় আমরা সেভাবে উপকৃত হই না।
বাহুতে গুজবাম্পস; Source: ethos3.com
যেভাবে এই নামকরণ হলো
সাধারণত হাঁস বা মুরগির পালক ছাড়িয়ে নিলে চামড়ায় ছোটো ছোটো কিছু ফুলে উঠা অংশ পরিলক্ষিত হয়। আমাদের শরীরে শিহরণ হলেও চামড়ায় ওই একই রকম অবস্থা হয়। তাই এই অবস্থাকে নাম দেয়া হয়েছে গুজবাম্পস বা গুজস্কিনস। ভালো বাংলায় বলতে গেলে হংসীত্বক! আমাদের শরীরের প্রতিটি লোমের সাথে চামড়ার নীচে সংযুক্ত থাকা পেশি সংকুচিত হবার জন্য গুজবাম্পস হয়ে থাকে। ত্বকের নীচে চামড়ার আশেপাশে পেশি সংকুচিত হয়ে নিম্নতার সৃষ্টি হলে কিছু অংশ ফুলে উঠে। এর জন্য শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায় এবং আমরা শীতল অনুভব করি।
পশম ছাড়ানো মুরগি যা দেখতে আমাদের গুজবাম্পসের মতই! Source: Exelby Foods
মানুষের ক্ষেত্রে গুজবাম্পস
প্রচণ্ড আবেগঘন মুহূর্ত, যেমন বিয়ে, জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পাওয়া, খেলায় জেতা, ভৌতিক মুভি দেখা অথবা কষ্টের মুভি দেখা, অনেকদিন পর পছন্দের গান শুনতে পাওয়া, প্রিয়জনের সাথে দেখা হবার আগ মুহূর্ত ইত্যাদি ক্ষেত্রে হঠাৎ করে শিরদাঁড়া বেয়ে যেন শীতল কিছু নেমে যায় এবং ওই সময়েই গুজবাম্পস হয়ে থাকে যাকে ‘গায়ে কাটা দিয়ে ওঠা’ও বলা হয়।
গুজবাম্পসের জন্য এভাবে লোম দাঁড়িয়ে যায়; Source: VideoBlocks