মোরগের দেহে একটি অভ্যন্তরীণ ঘড়ি রয়েছে। শুধু মোরগের না, আমাদের দেহেও এই অভ্যন্তরীণ ঘড়ি রয়েছে যেটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় সার্কেডিয়ান রিদম বলা হয়। এই ঘড়িও ২৪ ঘন্টা বেজড। আমাদের মনোভাব, হরমোনের মাত্রা, দেহের উষ্ণতা এবং সার্বিক বিপাকীয় কার্যাবলীর ওপর এই সার্কেডিয়ান রিদমের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। আর এই সার্কেডিয়ান রিদমের কারণেই দীর্ঘ ভ্রমণের পর দিনের বেলা ঘুমালে শরীর খারাপ হয় এবং মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়৷ এই সার্কেডিয়ান রিদমে গবেষণা করেই বিজ্ঞানীরা ইনসোমনিয়া সারানোর উপায়, ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম ইত্যাদি আবিষ্কার করেছে। এছাড়াও এই গবেষণায় ২০১৭ সালে ৩ জন নোবেল প্রাইজ পান। এই সার্কেডিয়ান রিদম কন্ট্রোল করে আমাদের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক অংশটি। মূলত, মোরগের দেহে থাকা এই সার্কেডিয়ান রিদমের কারণেই ভোর হওয়ার সাথে সাথে ভোরের আলো ছাড়াই বুঝে যায় ভোর হয়েছে এবং ডাকাডাকি শুরু করে,আর যদি একজায়গায় অনেকগুলো মোরগ থাকে তাহলে সেখানের আলফা মোরগটি বা সবচেয়ে শক্তিশালী মোরগটি ডাকা শুরু করবে এবং তাকে সবাই অনুসরণ করবে।