মানুষের নাকে ঘ্রাণ গ্রন্থি থাকলেও সাপের নাকে কোনও ঘ্রাণ গ্রন্থি নেই। অর্থাৎ সাপের নাকে গন্ধ শোঁকার কোনও ব্যবস্থা নেই। কিন্তু সাপ যে কোনও কিছুর গন্ধ পায় না, এমনও নয়। সাপের জিভই হলো সাপের ঘ্রাণ অঙ্গ। কারণ, তাদের ঘ্রাণ গ্রন্থি জিভে থাকে। সাপের জিভের চেরা অংশ কেটে বাদ দিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, সাপের ঘ্রাণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। সাপ জিভ দিয়ে বাইরে থেকে গন্ধ সৃষ্টিকারী অণুগুলো মুখের ভেতর নিয়ে যায়। মুখের ভেতরে তালুতে ছোট ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রকে ঘিরে অনেক সংবেদনশীল ঘ্রাণ কোষ রয়েছে। সাপ জিভের ডগাটি ওই ছিদ্রের ভেতর সরাসরি ঢুকিয়ে দিয়ে ঘ্রাণ সংবেদনশীল কোষগুলোতে ঘ্রাণের অণুগুলো পৌঁছে দেয়। ফলে সাপ নির্দিষ্ট গন্ধ পায়। এইভাবে সাপ জিভ দিয়ে বাইরের গন্ধকে ভেতরে পৌছায়। আর এর ফলে সে চিনে নিতে পারে তার খাদ্য। তাই সাপকে বারবার জিহ্বা কে বাইরে বের করার দরকার পড়ে।