প্রকৃতির সৌন্দর্য, প্রকৃতির প্রাণ, সবুজ প্রকৃতিকে সতেজতা দান করা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করা সবই হচ্ছে গাছের মূলমন্ত্র।
গাছ শুধু প্রকৃতিকে সবুজ ও সুন্দরই করে না,এর সাথে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে অক্সিজেন অপরিহার্য তারও যোগান দেয়।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন।গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় এবং আমরা যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করি তা গ্রহণ করে। গাছ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সাহায্যে খাদ্য তৈরী করে, খাদ্য তৈরির সময় যে অক্সিজেন উৎপন্ন হয় তা পরিবেশে ছড়িযে দেয়। আমরা এই অক্সিজেন গ্রহণ করে দেহের শ্বাসকার্য চালায়। এই তথ্য আমরা সবাই জানি।
কিন্তু আমরা কি জানি যে যখন গাছের পাতা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ও সূর্যের আলোর সাহায্যে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করে তখন সূর্যের তাপে গাছের পাতা উত্তপ্ত হয় না কেন ! আজব হলেও গাছের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি ঘটে।
দিবালোকে গাছের পাতা সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করার জন্য সূর্যের উপর নির্ভর করে। তাই স্বভাবতই সূর্যের প্রখর তাপে গাছের পাতা উত্তপ্ত হওয়ার কথা, কিন্তু তা হয় না। কারণ,গাছের পাতার নিচের অংশে পত্ররন্ধ ( Stomata) থাকে যা দিয়ে গাছ অক্সিজেন ও জলীয়বাষ্প ত্যাগ করে। সূর্যের তাপে পাতার পানি ক্রমাগত বাষ্প হয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। গাছের মূল থেকে ক্রমাগত পানি আবার পাতায় উঠে আসে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ভাষায় জলীয় বাষ্প বের হয়ে যাওয়ার এ পদ্ধতিকে বলা হয় প্রস্বেদন ( Transpiration ) । আর এই কারণেই সূর্যের প্রচণ্ড তাপে গাছের পাতা উত্তপ্ত হয়ে যায় না। এই প্রস্বেদন প্রক্রিয়া গাছের পাতাকে সূর্যালোকেও শীতল বা ঠাণ্ডা রাখে।