বোম্বে ব্লাড কী ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+9 টি ভোট
2,571 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (220 পয়েন্ট)
পূনঃট্যাগযুক্ত করেছেন

5 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (47,710 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

Rivhu Datta -

এই বোম্বে গ্রুপ জিনিসটা কি? খায় না মাথায় দেয় ?? 
এই সেদিন শুরু হয়েছে 'বোম্বে ব্লাড' নামে একটা বিশেষ গ্রুপের রক্ত নিয়ে মাতামাতি। অনেকে তো বলেই বসছেন, এটা এক্কেবারে আনকোরা নতুন একটা ব্লাডগ্রুপ। আবার অনেকে এটা ভেবে শংকিত, এই ব্লাড গ্রুপের  রকম সকম নিয়ে। দেখি, এই লেখায় এই ব্লাড গ্রুপ নিয়ে বুঝিয়ে লেখা যায় কিনা। 
প্রথম ABO ব্লাড গ্রুপ নিয়ে একটা কমন কথা। এই মেজর ব্লাড গ্রুপের  নামকরণ হয়েছে এর এন্টিজেন এর উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ A antigen, B antigen এর উপর ভর করেই এই ব্লাডগ্রুপের নামকরণ। তো সেই হিসেবে এই গ্রুপে চার টাইপের ব্লাড পাওয়া যায়, যথাঃ A, B, AB, O। বলে রাখা ভাল, আমরা এই এন্টিজেন A & B কে খুজে পাওয়া যাবে আমাদের সবার প্রিয় RBC surface এ। কিন্তু বিজ্ঞানপোকারা, এখানে একটা

প্রশ্ন হল, এই এন্টিজেন A & B আসলো কোথা থেকে ?? 


বিজ্ঞানীরা আরো গভীরে তলিয়ে দেখলেন, এই এন্টিজেন A & B  আসে আরেকটা এন্টিজেন থেকে। এই এন্টিজেন আমাদের গল্পের হিরো, এই Precursor Antigen is H, সোজা বাংলায় antigen H। কোন ব্যক্তির রক্তে যদি A antigen or B antigen থাকে, আমরা ধরে নেই, এদের জন্ম H antigen থেকে। সারা বিশ্বের বিশাল জনগোষ্ঠীতে, প্রতিটি সুস্থ সবল মানুষের RBC surface এ H antigen পাওয়া যাবে। যাদের ব্লাড গ্রুপ AB , তাদের RBC তে পাওয়া যাবে A,B & H. তবে যারা O ব্লাডগ্রুপধারী, তাদের ক্ষেত্রে শুধু H antigen পাওয়া যাবে !!! 
দূর্ভাগ্যবশত, কিছু কিছু ব্যক্তির রক্তে ( লোহিত রক্ত কণিকায়) A,B & H antigen পাওয়া যায় না। এরাই সেই বোম্বে ব্লাডগ্রুপের বাহক। এই অতি দূর্লভ ব্লাডগ্রুপ আবিষ্কার করা হয় বোম্বাই (বর্তমানে মুম্বাই) এর KEM Hospital এ। 
সেরোলজিক্যাল এক্সামিনেশন এ, এই ব্লাড গ্রুপে পাওয়া যায়, antibody A, antibody B & antibody H. এই ব্লাডগ্রুপ বহনকারী ব্যক্তি একমাত্র তার মত বোম্বাই ব্লাড বাহক অন্য ব্যক্তির রক্ত নিতে পারবে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য সোর্স  জানাচ্ছে, ইউরোপে প্রতি লাখে একজন এবং ভারতে প্রতি ১০ হাজারে এক জন এই রক্তের বাহক। তাহলে বুঝুন কত রেয়ার এই ব্লাড টাইপ। 


শনাক্ত করে কিভাবে এই ব্লাড টাইপ ??? 


ম্যাচিং পরীক্ষায় এই ব্লাড টাইপ আচরণ করে O ব্লাড গ্রুপের মত, কিন্তু যখনই ক্রশ ম্যাচিং এ দেওয়া হয়, তখন এই ব্লাড টাইপ সব এন্টিজেন (A,B,H) এর সাথে বিক্রিয়া করে এবং জমাট বেধে যায়। এভাবেই এই বোম্বে ব্লাড টাইপ শনাক্ত হয়। It is also called HH blood type and This blood phenotype was first discovered by the Doctor YM Bhende in 1952.
 

+3 টি ভোট
করেছেন (110,340 পয়েন্ট)

মোট চারটি সাধারণ রক্তের গ্রুপ রয়েছে। এগুলি হল এ, বি, এবি এবং ও। এছাড়া যে দুর্লভ রক্তের গ্রুপটি, যা বম্বে ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত, তা বম্বে বা অধুনা মুম্বইয়ে আবিষ্কৃত হয়। ১৯৫২ সালে এ আবিষ্কার করেন ডাক্তার ওয়াই এম ভেন্ডে। প্রতিটি রক্তকোষের উপরিতলে অ্যান্টিজেন থাকে, যার মাধ্যমে রক্তের গ্রুপ কী, তা বোঝা যায়। বম্বে ব্লাড গ্রুপ, যা hh নামেও পরিচিত, তার লোহিতকণিকায় H অ্যান্টিজেন থাকে না। এবি ব্লাড গ্রুপে এ ও বি এই দুধরনের অ্যান্টিজেনই থাকে। এ গ্রুপের রক্তে থাকে এ অ্যান্টিজেন, বি গ্রুপে থাকে বি অ্যান্টিজেন। hh গ্রুপের রক্তে কোনও এ বা বি অ্যান্টিজেন থাকে না।

ভারতেও দুর্লভ, বিদেশেও অমিল

বম্বে ব্লাড গ্রুপ, সারা পৃথিবীতে ৪০ লক্ষের মানুষের মধ্যে একজনে পাওয়া যায়। ভারতে অবশ্য এই রক্তের হার সে তুলনায় বেশি। প্রতি ৭৬০০ থেকে ১০০০০ জন মানুষে একজন এই রক্তের গ্রুপ নিয়ে জন্মান।

মহারাষ্ট্র স্টেট ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক অরুণ থোরাট বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার অধিবাসীদের মধ্যে নিকট সম্পর্কে বিবাহ, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে অন্তঃপ্রজননের কারণে এই রক্তের গ্রুপ বেশি দেখা যায়। এই রক্তের গ্রুপ উত্তরাধিকার সূত্রে পরিবাহিত হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অধিবাসীদের মধ্যে সাধারণ পূর্বপূরুষ থাকার কারণে এই অঞ্চলের অধিবাসীদের মধ্যে বম্বে গ্রুপের রক্তের অধিকারী মানুষের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি।

©ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস

+3 টি ভোট
করেছেন (110,340 পয়েন্ট)
নিশাত তাসনিম-

মোট চারটি সাধারণ রক্তের গ্রুপ রয়েছে। এগুলি হল এ, বি, এবি এবং ও। এছাড়া যে দুর্লভ রক্তের গ্রুপটি, যা বম্বে ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত। ১৯৫২ সালে ‘The Lancet’ নামক চিকিংসাবিজ্ঞানের এক গবেষণাপত্রে সর্বপ্রথম এই বোম্বে রক্তের সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। এই রক্তকে প্রথম বোম্বেতে (বর্তমানে মুম্বাই) শনাক্ত করায় ডা. ভেন্ডে এর নাম দেন বোম্বে রক্ত। বিজ্ঞানের ভাষায় অবশ্য একে ডাকা হয় hh অথবা Oh গ্রুপের রক্ত, সেই ব্যাপারে পরে বলছি। এই hh গ্রুপের রক্ত কেবলমাত্র অপর hh গ্রুপের রক্তকেই গ্রহণ করে। ১৯৫২ সালের পর বহু গবেষণার মাধ্যমে এই বোম্বে রক্তের সত্যিকারের ব্যাখ্যা উঠে এসেছে।  প্রতিটি রক্তকোষের উপরিতলে অ্যান্টিজেন থাকে, যার মাধ্যমে রক্তের গ্রুপ কী, তা বোঝা যায়। বম্বে ব্লাড গ্রুপ, যা hh নামেও পরিচিত, তার লোহিতকণিকায় H অ্যান্টিজেন থাকে না। এবি ব্লাড গ্রুপে এ ও বি এই দুধরনের অ্যান্টিজেনই থাকে। এ গ্রুপের রক্তে থাকে এ অ্যান্টিজেন, বি গ্রুপে থাকে বি অ্যান্টিজেন। hh গ্রুপের রক্তে কোনও এ বা বি অ্যান্টিজেন থাকে না। প্রতিটি রক্তকোষের উপরিতলে অ্যান্টিজেন থাকে, যার মাধ্যমে রক্তের গ্রুপ কী, তা বোঝা যায়। বম্বে ব্লাড গ্রুপ, যা hh নামেও পরিচিত, তার লোহিতকণিকায় H অ্যান্টিজেন থাকে না। এবি ব্লাড গ্রুপে এ ও বি এই দুধরনের অ্যান্টিজেনই থাকে। এ গ্রুপের রক্তে থাকে এ অ্যান্টিজেন, বি গ্রুপে থাকে বি অ্যান্টিজেন। hh গ্রুপের রক্তে কোনও এ বা বি অ্যান্টিজেন থাকে না।

 

তথ্যসুত্রঃ- রোর বাংলা, বাংলা ডট ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
+1 টি ভোট
করেছেন (1,480 পয়েন্ট)
সালটা ১৯৫২। রেলের এক আহত মজুরকে নিয়ে হাসপাতাল হুলুস্থুল। তাঁর রক্তের গ্রুপের সঙ্গে মিলছে না কারও রক্ত। বহু পরীক্ষা করে চিকিত্সকরা তো অবাক। এমন ব্লাড গ্রুপের অস্তিত্বই জানা ছিল না যে এত দিন। আর পাঁচটা রক্তের গ্রুপের থেকে যা পুরোপুরি আলাদা। ডাক্তারি পরিভাষায় এমন রক্ত পরিচিত এইচএইচ গ্রুপ নামে। তত্কালীন বম্বে শহরের নামে গ্রুপের নাম রাখা হল বম্বে ব্লাড গ্রুপ।

সাবেক বম্বেতে (অধুনা মুম্বই) এই এইচএইচ গ্রুপের রক্তের প্রথম সন্ধান পান চিকিৎসক ওয়াইএম ভেন্ডে। পরবর্তী সময়ে গবেষণায় জানা গিয়েছে, প্রতি ১০ লক্ষের মধ্যে মাত্র ৪ জনের শরীরে বইছে অতি বিরল এই রক্ত।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রক্তের গ্রুপ বা রক্তের ধরন (ব্লাড গ্রুপ বা ব্লাড টাইপ) লোহিত রক্তকণিকায় (আরবিসি) অ্যান্টিজেনিক পদার্থের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির উপর নির্ভর করে। তার উপর ভিত্তি করে রক্তের শ্রেণিবিভাগ হয়। এর উপর নির্ভর করে কার রক্ত কাকে দেওয়া যাবে।

আমাদের পরিচিত প্রধানত আটটি গ্রুপের (এ, বি, ও, ইত্যাদির মতো) রক্তে কোনও না কোনও অ্যান্টিজেন থাকেই। কিন্তু এই এইচএইচ গ্রুপের রক্তে কোন অ্যান্টিজেন নেই, সব গুলোই অ্যান্টিবডি, মানে ‘এ অ্যান্টিবডি’, ‘বি অ্যান্টিবডি’ থাকে। তা ছাড়া, এই রক্তে কোনও অ্যান্টিজেন না থাকার ফলে অন্য কোনও গ্রুপের রক্ত প্রসেসিং করা সম্ভব নয়। শুধু মাত্র একজন ‘বম্বে ব্লাড গ্রুপ’ এর রক্তদাতার দেহ থেকেই ‘বম্বে ব্লাড গ্রুপ’ এর রোগী রক্ত গ্রহণ করতে পারেন।
0 টি ভোট
করেছেন (135,490 পয়েন্ট)
মোট চারটি সাধারণ রক্তের গ্রুপ রয়েছে। এগুলি হল এ, বি, এবি এবং ও। এছাড়া যে দুর্লভ রক্তের গ্রুপটি, যা বম্বে ব্লাড গ্রুপ নামে পরিচিত, তা বম্বে বা অধুনা মুম্বইয়ে আবিষ্কৃত হয়। ১৯৫২ সালে এ আবিষ্কার করেন ডাক্তার ওয়াই এম ভেন্ডে। প্রতিটি রক্তকোষের উপরিতলে অ্যান্টিজেন থাকে, যার মাধ্যমে রক্তের গ্রুপ কী, তা বোঝা যায়। বম্বে ব্লাড গ্রুপ, যা hh নামেও পরিচিত, তার লোহিতকণিকায় H অ্যান্টিজেন থাকে না। এবি ব্লাড গ্রুপে এ ও বি এই দুধরনের অ্যান্টিজেনই থাকে। এ গ্রুপের রক্তে থাকে এ অ্যান্টিজেন, বি গ্রুপে থাকে বি অ্যান্টিজেন। hh গ্রুপের রক্তে কোনও এ বা বি অ্যান্টিজেন থাকে না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+10 টি ভোট
1 উত্তর 296 বার দেখা হয়েছে
31 জানুয়ারি 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Remove id (34,670 পয়েন্ট)
+9 টি ভোট
2 টি উত্তর 323 বার দেখা হয়েছে
31 জানুয়ারি 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Remove id (34,670 পয়েন্ট)
+9 টি ভোট
2 টি উত্তর 314 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 3,869 বার দেখা হয়েছে

10,826 টি প্রশ্ন

18,533 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

748,834 জন সদস্য

72 জন অনলাইনে রয়েছে
23 জন সদস্য এবং 49 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...