Rivhu Datta -
এই বোম্বে গ্রুপ জিনিসটা কি? খায় না মাথায় দেয় ??
এই সেদিন শুরু হয়েছে 'বোম্বে ব্লাড' নামে একটা বিশেষ গ্রুপের রক্ত নিয়ে মাতামাতি। অনেকে তো বলেই বসছেন, এটা এক্কেবারে আনকোরা নতুন একটা ব্লাডগ্রুপ। আবার অনেকে এটা ভেবে শংকিত, এই ব্লাড গ্রুপের রকম সকম নিয়ে। দেখি, এই লেখায় এই ব্লাড গ্রুপ নিয়ে বুঝিয়ে লেখা যায় কিনা।
প্রথম ABO ব্লাড গ্রুপ নিয়ে একটা কমন কথা। এই মেজর ব্লাড গ্রুপের নামকরণ হয়েছে এর এন্টিজেন এর উপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ A antigen, B antigen এর উপর ভর করেই এই ব্লাডগ্রুপের নামকরণ। তো সেই হিসেবে এই গ্রুপে চার টাইপের ব্লাড পাওয়া যায়, যথাঃ A, B, AB, O। বলে রাখা ভাল, আমরা এই এন্টিজেন A & B কে খুজে পাওয়া যাবে আমাদের সবার প্রিয় RBC surface এ। কিন্তু বিজ্ঞানপোকারা, এখানে একটা
প্রশ্ন হল, এই এন্টিজেন A & B আসলো কোথা থেকে ??
বিজ্ঞানীরা আরো গভীরে তলিয়ে দেখলেন, এই এন্টিজেন A & B আসে আরেকটা এন্টিজেন থেকে। এই এন্টিজেন আমাদের গল্পের হিরো, এই Precursor Antigen is H, সোজা বাংলায় antigen H। কোন ব্যক্তির রক্তে যদি A antigen or B antigen থাকে, আমরা ধরে নেই, এদের জন্ম H antigen থেকে। সারা বিশ্বের বিশাল জনগোষ্ঠীতে, প্রতিটি সুস্থ সবল মানুষের RBC surface এ H antigen পাওয়া যাবে। যাদের ব্লাড গ্রুপ AB , তাদের RBC তে পাওয়া যাবে A,B & H. তবে যারা O ব্লাডগ্রুপধারী, তাদের ক্ষেত্রে শুধু H antigen পাওয়া যাবে !!!
দূর্ভাগ্যবশত, কিছু কিছু ব্যক্তির রক্তে ( লোহিত রক্ত কণিকায়) A,B & H antigen পাওয়া যায় না। এরাই সেই বোম্বে ব্লাডগ্রুপের বাহক। এই অতি দূর্লভ ব্লাডগ্রুপ আবিষ্কার করা হয় বোম্বাই (বর্তমানে মুম্বাই) এর KEM Hospital এ।
সেরোলজিক্যাল এক্সামিনেশন এ, এই ব্লাড গ্রুপে পাওয়া যায়, antibody A, antibody B & antibody H. এই ব্লাডগ্রুপ বহনকারী ব্যক্তি একমাত্র তার মত বোম্বাই ব্লাড বাহক অন্য ব্যক্তির রক্ত নিতে পারবে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য সোর্স জানাচ্ছে, ইউরোপে প্রতি লাখে একজন এবং ভারতে প্রতি ১০ হাজারে এক জন এই রক্তের বাহক। তাহলে বুঝুন কত রেয়ার এই ব্লাড টাইপ।
শনাক্ত করে কিভাবে এই ব্লাড টাইপ ???
ম্যাচিং পরীক্ষায় এই ব্লাড টাইপ আচরণ করে O ব্লাড গ্রুপের মত, কিন্তু যখনই ক্রশ ম্যাচিং এ দেওয়া হয়, তখন এই ব্লাড টাইপ সব এন্টিজেন (A,B,H) এর সাথে বিক্রিয়া করে এবং জমাট বেধে যায়। এভাবেই এই বোম্বে ব্লাড টাইপ শনাক্ত হয়। It is also called HH blood type and This blood phenotype was first discovered by the Doctor YM Bhende in 1952.