হরিণের চেয়ে দ্বিগুণ গতিসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও চিতাবাঘ কেন হরিণ যে ধরতে ব্যর্থ হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+6 টি ভোট
605 বার দেখা হয়েছে
"প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে করেছেন (110,340 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (110,340 পয়েন্ট)
Fauzia Afrin Aurin-

হরিণের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ গতি সম্পন্ন চিতাবাঘ অনেক সময় দৌড়ে হরিণকে ধরতে ব্যর্থ  হওয়ার কারণঃ

চিতার স্পিড 100 থেকে 120 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার মধ্যে আবর্তন করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিতা বাঘ হরিণের শিকার করতে পারে না সব সময়। এটা কেন হয়ে থাকে?

1973 সালে দুইজন হার্ভার্ড এর বিজ্ঞানী কয়েকটি চিতাবাঘ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেন এবং তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন

চিতাবাঘ বেশিক্ষণ দৌড়ালে তাদের দেহের তাপমাত্রা 40.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ও বেশি হয়। এবং তাই তারা খুব ভালো রেঞ্জের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তাদের শিকারকে হাতছাড়া করে। কারণ এরপর যদি তারা কন্টিনিউ করে তাহলে তাদের মৃত্যু অনেকটাই অবশ্যম্ভাবী। এবং এটা খুব ফেমাস এক্সপেরিমেন্ট তাই এটার কথা আপনারা প্রত্যেকেই জানেন।

কিন্তু এর অনেক ড্র ব্যাক আছে। যেখানে সমস্ত চিতা বনে-জঙ্গলে দৌড়ে অভ্যস্ত সেখানে তাদের একটা চার দেওয়ালের মধ্যে দৌড়াতে হয়েছে এবং তারা দৌড়েছে মোট 30 kmph করে দু'ঘন্টা।

কিন্তু আসল জঙ্গলে ঘটনাটি বিপরীত হয়। চিতাবাঘ কখনোই দু'ঘণ্টা একনাগাড়ে দৌড়াবার ক্ষমতা রাখেনা। বরং জঙ্গলে চিতাবাঘ কয়েকশো মিটার দৌড়ায় কিন্তু 100 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে। তাই আমার কাছে চিতাবাঘের দৈহিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার তত্ত্ব গ্রহণযোগ্য নয়।

Robin Hatem নামক এক মহিলা বিজ্ঞানী প্রমাণ করলেন যে চিতাবাঘের দৈহিক তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াটা শুধুমাত্র একটা মিথ। তিনি চিতাবাঘের পশ্চাৎদেশে এবং পেটে দুটি সেন্সর লাগানো অবস্থায় তাদেরকে জঙ্গলে ছেড়ে দেন, এবং তাদের শিকার করা অবস্থায় তাপমাত্রা এবং শিকার করার পরবর্তী তাপমাত্রা লক্ষ্য করেন। তিনি যে সমস্ত ডাটাগুলো পেয়েছিলেন সেগুলি যথেষ্ট ছিল চিতাবাঘের দৈহিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রস্তাব নাকচ করার জন্য।

তিনি দেখলেন

চিতাবাঘের দৈহিক তাপমাত্রা 37.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে 39.5 ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। তিনি দেখেন যখন চিতাবাঘ একটি সফল শিকার অভিযান শেষ করে তখন তার দৈহিক তাপমাত্রা থাকে 38.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু যখন এটি অসফল শিকার অভিযান শেষ করে তখন তার দৈহিক তাপমাত্রা থাকে 38.3 ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ ওভারহিটিং থিওরি একেবারেই নাকচ করা যায়।

Robin Hatem এর মতে চিতাবাঘের একটি খুব ভালো রেঞ্জের শিকার থাকা সত্ত্বেও দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে strain, কারণ চিতাবাঘের শুধু দৌড়াবার গতি আছে, দৌড়াবার শক্তি অতটা নেই। যদিও আজ পর্যন্ত এটা স্পষ্ট নয় যে চিতাবাঘ কেন নিজের পরিধির মধ্যে থাকা শিকারকে ছেড়ে দেয়।   

©Quora

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 872 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 564 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 990 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 481 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
1 উত্তর 269 বার দেখা হয়েছে
03 মার্চ 2021 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)

10,837 টি প্রশ্ন

18,540 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

843,546 জন সদস্য

52 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 52 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. M_Hamza

    200 পয়েন্ট

  2. NaeemAdnan

    140 পয়েন্ট

  3. Dibbo_Nath

    140 পয়েন্ট

  4. pg66vncom

    100 পয়েন্ট

  5. mkjabers

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...