সৈয়দ হাসবি -
ফিমেল মশা আমাদের দেহ থেকে প্রতিবারে গড়ে ৩ মিলিগ্রাম রক্ত নেয় ডিম পারার জন্য, কিন্তু এতে আমাদের ডিএনএ কোনভাবেই মশার বাচ্চার দেহে যায়না।
প্রথমে জেনে নেই মশার প্রজনন এর ব্যাপারে একটু, মশার প্রজনন হয় পুরুষ এবং স্ত্রী মশার সঙ্গমের ফলে যা মাত্র ১৫ সেকেন্ড এর মত স্থায়ী হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা উড়ন্ত অবস্থাতেই ঘটে থাকে তবে ভূমিতেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়।
সঙ্গমের সময় পুরুষ মশার সিমেন জাতীয় তরল ফিমেল মশার জননাঙ্গে প্রবেশ করে, এই তরলে একপ্রকার রাসায়নিক উপাদান থাকে যার ফলে ফিমেল মশার রক্ত সংগ্রহ করার ইচ্ছা আসে পরবর্তীতে। একটি পুরুষ মশা তার জীবনচক্রে ক্রমাগত মিলিত হতে থাকে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফিমেল মশা মাত্র একবার ই মিলিত হয় এবং তখন যে স্পার্ম পায় সেটাই দেহে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে ডিম উৎপাদন করে যেতে পারে। সেই শুক্রাণু থেকেই পরবর্তীতে ডিমগুলো ফারটিলাইজড হয়, এক্ষেত্রে সেই শুক্রাণুতে থাকা ডিএনএ ডিম ফুটে হওয়া বাচ্চাগুলোর মধ্যে থাকবে।
আমাদের দেহ থেকে নেয়া রক্ত মশা ব্যাবহার করে ডিমে পুষ্ঠি হিসেবে দেয়ার জন্য। রক্তে প্রোটিন, আইরন এবং এমিনো এসিডের মত উপাদান থাকে, মশার দেহে থাকা বিশেষ এনজাইম রক্তের এই উপাদানগুলোকে আলাদ করে দেয় এবং সেগুলো ডিমের উৎপাদনে সাপ্লিমেন্ট এর মত কাজ করে। আমরা আমাদের দেহের বৃদ্ধি বা শক্তির জন্য খাবার থেকে হজমের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পুষ্ঠি গ্রহণ করি, এর মানে সেই খাবারের ডিএনএ আমাদের দেহে থেকে যায়না, সেটা শক্তি হিসেবে দেহে কাজে লাগে শুধু, মশার ক্ষেত্রেও প্রায় এরকম ই ঘটে, তবে সেটা মশার নিজের নয় ডিমের পুষ্ঠি হিসেবে আমাদের রক্তের উপাদানগুলো কাজে লাগায়।