যখন আপনি সেলফনে কথা বলেন তখন এর ভেতরে থাকা একটি ছোট মাইক্রোফোন শব্দ গুলোকে ক্রমাগত আপ-ডাউন করিয়ে একটি ইলেকট্রিকাল সিগন্যালের প্যাটার্ন তৈরি করে। এবং এই ইলেকট্রিকাল সিগন্যালটি মূলত অ্যানালগ পদ্ধতিতে প্রসেসিং হয়। কিন্তু আপনার ফোনের ভেতর আরেকটি মাইক্রো চিপ থাকে যাকে মূলত এডিসি (অ্যানালগ টু ডিজিটাল কনভার্টার) বলা হয়ে থাকে—এটি ইলেকট্রিকাল সিগন্যালকে ডিজিটে (সংখ্যায়) রূপান্তরিত করে। এখন এই ডিজিট গুলোকে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে ফোনের ছোট্ট অ্যান্টেনা (কিছু দেশে অ্যান্টেনাকে এইরিয়াল-Aerial বলা হয়ে থাকে) ব্যবহার করে ছুড়ে মারা হয়। এখন এই রেডিও তরঙ্গ আলোর গতিতে বাতাসে ভাসতে থাকে ততোক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত না কোন নিকটস্থ সেলফোন মাস্তুলের (টাওয়ার) কাছে পৌঁছাতে পারে।
এবার টাওয়ার সেই সিগন্যালটি গ্রহন করে এবং সেটি এর প্রধান স্টেশনের কাছে পাঠিয়ে দেয়—যেখানে কার্যকর ভাবে নির্ধারিত হয়ে থাকে যে, প্রত্যেকটি লোকাল সেলফোন নেটওয়ার্কে ঠিক কি ঘটবে। আর একেই বলা হয়ে থাকে সেল (Cell)। প্রধান স্টেশন থেকে কল গুলোকে তার গন্তব্যের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। একই নেটওয়ার্কে অবস্থিত দুইটি ফোনের মধ্যে কল সম্পূর্ণ হতে প্রথমে কলটি গন্তব্যের ফোনের কাছের প্রধান স্টেশনে গিয়ে পৌঁছায় এবং সর্বশেষে গন্তব্য ফোনে পৌঁছায়। কিন্তু এক নেটওয়ার্কের ফোন থেকে আরেক নেটওয়ার্কের ফোনে বা ল্যান্ড লাইনে কল পৌঁছাতে সেই কলটিকে আরো বেশি দূরত্ব অতিক্রান্ত করতে হয়। প্রথমে দুই নেটওয়ার্কের মধ্যের একটি সংযোগ থাকতে হয় তারপর কলটি বিভিন্ন স্টেশন থেকে গন্তব্য ফোনে গিয়ে পৌঁছায়।