গর্ভমুন্ড আঁঠালো হওয়ার উদ্দেশ্য হলো নিষেকের জন্য ফাঁদ তৈরি করা। পরাগরেণু সাধারণত শুষ্ক অবস্থায় থাকে যা একটি ফুলের স্ত্রীস্তবকে প্রবেশের সময় সর্বপ্রথম গর্ভমুন্ডে প্রবেশ করে থাকে। গর্ভমুন্ডের চারপাশে আঠালো পদার্থ থাকার ফলে পরাগরেণু পরবর্তীতে সিক্ত বা ভেজা হয়। আর গর্ভমুন্ডে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লোমের মতো অংশ থাকে যা পরাগরেণুকে আটকে রাখে যা পরবর্তীতে একটি পরাগনালিকার মাধ্যমে গর্ভাশয় ও এরপর ডিম্বকে প্রবেশ করে। পরাগনালিকার গতিপথ বিশেষ কিছু রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। আর এই পরাগরেণু গর্ভমুন্ডে আটকে বলেই তা পরাগনালিকা দিয়ে ডিম্বকে প্রবেশ করে ও নিষেকক্রিয়া সম্পন্ন হয়।