মাছের উকুন
মাছের উকুনের আর কি নাম আছে?
আরগুলাস, লাইস।
মাছের উকুন কখন হয়?
মাছের ঘনত্ব বেশি হলে
পানি পরিবর্তনের ব্যবস্থা না থাকলে
মাছের উকুন কেন হয়?
মাছের দেহ থেকে পিচ্ছিল পদার্থ নিসৃত হয় যা মূলত প্রোটিন বা আমিষ। এই আমিষের ভিতর এমোনিয়া ও নাইট্রোজেন যথেষ্ট পরিমানে থাকে। যার কারনে মাছের পুকুরে উকুন হয়।
উকুন হলে মাছে কি কি সমস্যার সৃষ্টি হয়?
মাছের দেহের সংগে লেগে থাকে। যেখানে আঁইশ থাকে না সেখান দুইটা শুঙ্গ মাছের শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে মাছের দেহ থেকে রক্ত শোষন করে। এভাবে মাছের শরীরে উকুন বড় হতে থাকে।
উকুন পরিপক্ক হলে মাছের শরীর থেকে বের হয়ে পুকুরের বিভিন্ন স্থানে ডালপালা, লতাপাতায় গিয়ে ডিম ছাড়ে। তারপর বয়স্ক উকুন মারা যায়। কিন্তু ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়ে আবার মাছ কে আক্রমন করে।
মাছের উকুন নিয়ন্ত্রণের উপায় কি?
সাইপার মেথ্রিনঃ শতক এক্স ফুট এক্স ০.৮ মিলি. (চিংড়িতে ব্যবহার করা যাবে না)
আইভারমেকটিনঃ শতক এক্স ফুট এক্স ০.৮ মিলি. (চিংড়িতে ব্যবহার করা যাবে)
ডেলটামেথ্রিনঃ ৩৩ শতকে ৩ ফুট পানির জন্য ১৮ মিলি.
ডেলটামেথ্রিনও চিংড়িতে ব্যবহার করা যাবে না।
মাছের উকুন কে সমুলে বিনাশ করতে ৭ থেকে ১০ দিন পর আবার একবার উকুনের ডোজ করতে হয়।
মাছের উকুনকে সম্পূর্ণ দমন করতে দুইবার ডোজ করতে হয় কেন?
মেডিসিন ব্যবহার করলে বড় উকুন মারা যায় ঠিকই কিন্তু উকুনের ডিমের উপর কোন বিষ কাজ করেনা বিধায় উকুনের ডিম নষ্ট হয় না। ফলে তিন চার দিন পর ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়। এরা আবার মাছকে আক্রমন করে। তাই এই অপরিপক্ক উকুন কে নাশ করতে ৭ থেকে ১০ দিন পর আবার উকুনের ডোজ করতে হয়।