হ্যাঁ ৷
এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে রং হলুদ হতে পারে ৷
ডিহাইড্রেশন
খুবই কম পরিমাণ পানি পান করার ফলে আমাদের প্রস্রাবের রং হলুদ হতে পারে। ডিহাইড্রেশন হলে আমাদের উচিত প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা। অনেক কারণে ডিহাইড্রেশন হতে পারে যেমন খুব বেশি বমি হলে, খুব চিন্তা বা ক্লান্তি অনুভব করলে, খুব ঘাম হলে ইত্যাদি। পানি পান করে তারপর শরীরে পানির পরিমান বাড়ানো অতন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে আমাদের প্রস্রাব হলুদ হয়ে যায়।
হেপাটাইটিস
হেপাটাইটিসের ফলেও আমাদের প্রস্রাবের রং হলুদ হতে পারে। সাধারণত লিভার ফুলে গেলে হেপাটাইটিস হয়ে থাকে। হেপাটাইটিস ভাইরাল ইনফেকশনের থেকেও হতে পারে। অনেক সময় খুব বেশি পরিমাণ মদ খেলে সেটি হেপাটাইটিস রোগে পরিণত হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা গিয়েছে এমন কোনো ওষুধ খেলে যার মধ্যে বিভিন্ন হলুদ প্রস্রাব করানোর কেমিক্যাল আছে, এর ফলেও হেপাটাইটিস হয়। তাই হেপাটাইটিস রোগ ধরা পড়লে খুব তাড়াতাড়ি উচিত ডাক্তার দেখানো এবং সঠিক চিকিৎসা করা।
জন্ডিস
জন্ডিসের রোগ প্রথমে বোঝা যায় হলুদ প্রস্রাব দেখে। তারপর মলের রঙও গাঢ় হলুদ হয়ে থাকে। তীব্র শরীর খারাপের সাথে আমাদের গায়ের রংও হলুদ হতে থাকে। জন্ডিস হয়ে থাকে খুব বেশি পরিমাণ বিলুরুবিন যখন সৃষ্টি হয়ে যায় এবং আমাদের লিভার সেই বিলুরুবিন প্রস্রাবের সাহায্যে বাইরে বের করে দেয়। প্রস্রাব হলুদ হয়ে যাওয়া জন্ডিসের প্রথম লক্ষণ। তাই জন্ডিস সঙ্কেত দেখলেই আমাদের উচিত ডাক্তার দেখানো।
লিভার সিরোসিস
লিভারের সমস্যা দেখা দিলে তার প্রভাব পড়ে প্রস্রাবের রঙের উপর। আমাদের লিভার আমাদের শরীরের একটা জরুরি অংশ। তাই হলুদ প্রস্রাব যখন লিভারের সমস্যার যখন দেখা দেয় তখন আমাদের উচিত প্রথমেই ডাক্তার দেখানো এবং নির্দিষ্ট পরীক্ষা করা। দীর্ঘদিন ধরে যদি আমাদের লিভারে অসুবিধা দেখা দেয় তাহলে প্রস্রাবের সাথে সাথে আমাদের পায়ের দিকের চামড়ার রঙ হলুদ হতে দেখা দেয়।
কিডনি স্টোন
প্রস্রাবের হলুদ হওয়া কিডনি স্টোনেরও সংকেত দেয়। তাই যদি প্রস্রাবের সময় কষ্ট অনুভব করেন আর প্রস্রাবও হলুদ হয় তাহলে খুবই জরুরি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। এই সবক্ষেত্রে দেরি করা একদমই উচিত না।