Hacking, Cracking & spamming এদের মধ্যে পার্থক্য কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+12 টি ভোট
1,127 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (65,620 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (140 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
Hacking  :- কোন কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক সিস্টেমের মধ্যে অবৈধ ভাবে অনুমতি ছাড়াই প্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে হ্যাকিং।
হ্যাকিং এর কাজ যারা করে তাদেরকে বলা হয় হ্যাকার। হ্যাকিং জিনিসটা কোনো ছেলেখেলা না।
এর জন্য অনেক গভীর জ্ঞান থাকতে হয়।হ্যাকাররা অনেক এক্সপার্ট ও মেধাবী হয়ে থাকে।

হ্যাকিং এর ধরনের ভিত্তিতে হ্যাকারদেরকে কয়েকভাগে ভাগ করা যায়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ক্যাটাগরি হচ্ছে :-

White hat hacker  :- এরা মূলত Ethical hacker নামে পরিচিত। সাধারণত কোনো একটা কোম্পানি বা অর্গানাইজেশনের হয়ে তারা কাজ করে। তাদের হ্যাকিং এর উদ্দেশ্য খারাপ না। তারা হ্যাকিং করে কোনো সিস্টেম এর মধ্যে কোনো ত্রুটি বা দূর্বলতা এগুলো খুজে বের করার জন্য যাতে পরবর্তী সেগুলো ঠিক করে সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক এর সিকিউরিটি আরো বাড়ানো যায়। White hat hacking কোনোভাবেই অবৈধ নয়।

Black hat hacker  :- এরাই হচ্ছে খারাপ হ্যাকার। এরা শুধুমাত্র নিজের লাভের জন্য কোনো সিস্টেম এর মধ্যে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে এবং অন্যের ব্যাক্তিগত তথ্য বা কোনো অর্গানাইজেশন বা কোম্পানির প্রয়োজনীয় তথ্য চুরি করে তাদের ক্ষতি করে থাকে। Black hat hacking সর্বদা অবৈধ। কারণ তারা অন্যেক প্রাইভেসি নষ্ট করা, অফিশিয়াল তথ্য চুরি করা, সিস্টেম ব্লক বা ব্রেক ডাউন করা এসব অন্যায় কাজের সাথে জড়িত।

 Grey hat hacker  :- এরা হচ্ছে White & Black Hat এর মাঝামাঝি টাইপের। মানে এরা কোনো সিস্টেমের মধ্যে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করে তথ্য চুরি করে এবং সেই তথ্যগুলো যাদের কাছ থেকে চুরি করে তাদের কাছে বা প্রতিপক্ষের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে।

 Red hat hacker :- এরাও grey hat hacker এর মতই। তবে এদের মূল টার্গেট থাকে রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ, বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ, সরকারি এজেন্সি এসব। এটাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Cracking  :-  cracking ব্যাপারটাও অনেকটা হ্যাকিং এর মতই। তবে হ্যাকিং এর উদ্দেশ্য ভালো বা খারাপ হতে পারে। কিন্তু cracking  পুরোটাই খারাপ উদ্দেশ্যে করা হয়। খারাপ কোনো উদ্দেশ্যে কোনো সিস্টেমের মধ্যে অবৈধ ভাবে প্রবেশের পর সেখানে থাকা সব সিকিউরিটি ব্রেক ডাউন করে সেগুলোর এক্সেস নিয়ে নেওয়াটা হলো ক্র‍্যাকিং।
উদাহরণস্বরূপ,  কোনো কম্পিউটার হ্যাক করার পর সেখানে থাকা জিমেইল এর পাসওয়ার্ড এর এক্সেস নিয়ে নেয় সেটা হবে তখন cracking। আবার কোনো পেইড App এর লাইসেন্স বাইপাস করে সেটার এক্সেস নিয়ে ফ্রি  করে দেয় সেটাও হবে cracking।

Cracking এর ধরনের ভিত্তিতে এগুলোকে password cracking, software cracking, network cracking  ইত্যাদি নাম দেওয়া হয়।

Spamming :- অনেক সময় ইমেইল,  মেসেঞ্জার বা কোনো সোশ্যাল সাইটে অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রাসঙ্গিক ও অযাচিত মেসেজ আসে। এই মেসেজ পাঠানোই হলো  স্প্যামিং। এসব স্প্যাম মেসেজে আকর্ষণীয় কোনো অফার বা এমন কিছু পাঠানো হয় যাতে সেটাতে আকৃষ্ট হয়ে রিসিভার সেটাতে ক্লিক করে।আর এসব মেসেজের মধ্যে কিছু লিংক পাঠায় যেগুলোতে আপনি ক্লিক করলে আপনার সোশ্যাল সাইট, মোবাইল বা কম্পিউটারের এক্সেস স্প্যামারদের কাছে চলে যায়, যার মাধ্যমে আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য চুরি করে তারা আপনার ক্ষতিসাধন করে।  স্প্যামিং বিভিন্ন ভাবে করা যায় - যেমন :-

Clickbaiting :- আকর্ষণীয় কোনো বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয় যার মধ্যে একটা লিংক থাকে যেখানে ক্লিক করলে আপনার কম্পিউটার হ্যাক হয়ে যেতে পারে।

এছাড়াও malicious link পাঠানো,  bulk messaging  , comment spamming   ইত্যাদি বিভিন্ন উপায়ে স্প্যামিং করা যায়।

তথ্যসূত্র : ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইট থেকে সংগৃহীত।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 692 বার দেখা হয়েছে
13 নভেম্বর 2022 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ishtiak Ahmed Sajib (150 পয়েন্ট)
+8 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,896 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 789 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 388 বার দেখা হয়েছে
05 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)

10,808 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

585,128 জন সদস্য

83 জন অনলাইনে রয়েছে
16 জন সদস্য এবং 67 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. slashslice3

    100 পয়েন্ট

  2. quietteam2

    100 পয়েন্ট

  3. cornpimple6

    100 পয়েন্ট

  4. pantsyear20

    100 পয়েন্ট

  5. restflare51

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মস্তিষ্ক মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...