মাছ, মাংস খাবারগুলো প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায়। প্রাণিদেহ প্রোটিন বা আমিষ দিয়ে গঠিত, আর আমিষ অনেকগুলো অ্যামাইনো এসিড অণুর সমন্বয়ে গঠিত। যেকোনো প্রাণিদেহ গঠনের জন্য অ্যামাইনো এসিড মৌলিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। মানবদেহ গঠনের জন্যও প্রোটিন (অ্যামাইনো এসিড) প্রয়োজন, যা আমরা অন্য প্রাণিকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে অভাব পূরণ করে থাকি। যেহেতু আমরা আমিষ (প্রোটিনের) এর অভাব মেটানোর জন্য অন্য প্রাণিকে খাবার হিসেবে গ্রহণ করি যা মূলত অ্যামাইনো এসিডের মাধ্যমে গঠিত, এ কারণেই মাছ, মাংসকে আমিষজাতীয় খাবার বলা হয়।
আমিষজাতীয় খাবার মানুষের জন্য অতিঅত্যাবশ্যকীয় এবং অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের উৎস হিসেবে কাজ করে।
প্রাণিদেহ মানেই তা প্রোটিন দিয়ে গঠিত। আর প্রোটিন মানেই অ্যামাইনো এসিডের পলিমার। মাছ, ছাগল, গরু, মুরগি এগুলোও প্রাণি। এদের দেহ গঠনের সময় এদের জেনেটিক সিকোয়েন্স অনুযায়ী অ্যামাইনো এসিড অণুগুলো যুক্ত হয়ে শরীরের কাঠামো গঠন করে (এদের দেহে মাংস উৎপন্ন করে যা আমরা খাবার হিসেবে খাই) ।