শীতের দিনে আমাদের বারবার প্রস্রাব আসার কারণ কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+11 টি ভোট
5,557 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

Nishat Tasnim-

যেকোনো ঠান্ডা পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য আমাদের দেহ থেকে গ্লুকোজ এবং ফ্যাট গুলো ভাঙতে শুরু করে। এই সময়ে দেহের কোষ থেকে উৎপন্ন হয় প্রচুর পানি। কিন্তু দেহের রক্তনালি গুলো সংকুচিত হয়ে যায় বলে এবং পরিবেশের তাপমাত্রা কম থাকে বলে অতিরিক্ত পানি গুলো ঘাম আকারে বের হতে পারেনা। ফলে পানি গুলো কিডনিতে জমা হয়। আর এইজন্যই আমাদের ইউরিন এর বেগ ঠান্ডা বা বৃষ্টির সময় বেড়ে যায়।

অন্যদিকে গ্লুকোজ ও চর্বি ভাঙ্গার জন্য দেহে অনেক শক্তি খরচ হয়। আর শক্তির অভাব হলে তখন ই আপনার খিদে বেড়ে যায়।

©জাইমা

করেছেন (65,620 পয়েন্ট)
এরকম নিজে প্রশ্ন করে নিজেই উত্তর দেওয়ার নিয়ম আছে?
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
ওয়েবসাইটের প্রশ্নোত্তর গুলো ঘাঁটলেই বুঝতে পারবেন। আর হ্যাঁ, নিয়ম আছে।
+1 টি ভোট
করেছেন (2,380 পয়েন্ট)
মনে করুন কোন এক শীতের সকালে আপনি পার্কে হাঁটছেন। হাঁটা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই আপনাকে ওয়াশরুম খুঁজতে হবে। অথচ এই একই রকম অভিজ্ঞতা গ্রীষ্মকালে হবে না। স্বভাবতই গরমের তুলনায় শীতকালে এবং বর্ষাকালে আমাদের প্রস্রাব বেশি হয়। আজকে জানব এর পেছনের বিজ্ঞান।

শীতকালে বেশি প্রস্রাব হওয়ার মূল কারণ দুইটি। প্রথমত, দুটি ভিন্ন রকমের জীবনযাত্রা। গ্রীষ্মকালে আমরা বেশি সময় বাইরে থাকি, কর্মচাঞ্চল্যতাও থাকে তুলনামূলক বেশি। অর্থাৎ এই সময়ে শরীর বেশি তাপ বের করে দিতে চায়। ফলস্বরূপ আমরা ঘামাই। দেহে জমা হওয়া ফ্রী ফ্লুইড বা মুক্ত তরলের একটা অংশ সহজেই ঘামের দ্বারা
শরীর থেকে বের হয়ে যায়। অন্যদিকে, শীতকালে আমাদের কার্যক্রম থাকে কম। ঘামের পরিমাণও থাকে কম। তাই অতিরিক্ত ফ্রী ফ্লুইড বের হয় মূত্রের মাধ্যমে।

শীতকালে প্রস্রাব বেশি হওয়ার আরও একটি কারণ দেহের তাপ হারাতে না চাওয়া। ঠাণ্ডা বা শীতল পরিবেশে দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির কাজ বেড়ে যায়। কারণ শীতের সময় দেহ তাপ বাইরে বের করতে চায় না। যতটা সম্ভব দেহকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করে। এই প্রবণতার জন্যেও মূত্রের হার বৃদ্ধি পায়।
সহজ করে বললে, শীতের সময় রক্ত ত্বকের কাছাকাছি জায়গাগুলোতে প্রবাহিত হওয়া কমিয়ে দেয়। কারণ এর ফলে রক্ত থেকে ত্বকের মাধ্যমে দেহের তাপ বাইরে বেরিয়ে যেতে  পারে। ফলে বেশি থেকে বেশি রক্ত দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো দিয়ে প্রবাহিত হয়। নির্দিষ্ট করে বললে কিডনির কাজ তখন বেড়ে যায়। প্রচুর পরিমাণে রক্ত উচ্চচাপে কিডনির মধ্য দিয়ে যাওয়া আসা করে। অর্থাৎ কিডনির ছাঁকন মাত্রাও তখন বেড়ে যায়। আর কিডনির ছাঁকন বা ফিলট্রেশন।বাড়া মানেই বেশি পরিমাণ মূত্রের উৎপাদন। ঠিক এই একই কারণে বর্ষাকালে বা বৃষ্টির দিনে আমাদের প্রস্রাব এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

তাহলে বলা যায় মূলত ওপরের কারণ গুলোর ফলেই শীতকালে এবং বৃষ্টির দিনে মূত্রের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে গবেষণা বলছে বেশি প্রস্রাব এড়ানোর জন্য পানি পান কমিয়ে দেয়া মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। বরং শীতের সময়েও পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এর পাশাপাশি দৈহিক শ্রমও ঠিকঠাক রাখা জরুরি।

আপনারও কী শীতকালে এবং বৃষ্টির দিনে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়? জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!

মোঃ মাসরুল আহসান,
কো-অর্ডিনেটর, সায়েন্স বী নিউজ টিম।
0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

ধরুন, বাইরে বেশ ঠান্ডা পড়েছে। আপনি একটু আরাম করে কম্বলের নিচে নিজেকে এলিয়ে দিলেন। কম্বলও একটু উষ্ণ হতে শুরু করেছে। ঠিক এমন সময়ই আপনার দুই নম্বর বাথরুমের বেগ হলো। বিরক্তি আসাটাই স্বাভাবিক। সেই সঙ্গে একটি প্রশ্নও মনে জাগতে পারে, শীতকালে তো আমরা পানি বেশি খাই না, তাহলে কেন এত ঘন ঘন প্রস্রাব করতে হয়?

অনেকেরই শীতকালে ঘন ঘন প্রস্রাব করতে হয় এবং এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণও আছে। 

প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের শরীরের সম্পর্ক এর জন্য দায়ী। এটা আসলে মানুষের এক ধরণের সাইকোলজিক্যাল রিঅ্যাকশন, যা ‘কোল্ড ইনডিউসড ডাইয়ুরেসিস’ নামে পরিচিত। শীতকালে বেশি ঠান্ডা লাগে, যার প্রভাবে আমাদের আমাদের ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ তৈরি হয়। মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্র ৩৬-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু শীতের সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় আমাদের শরীরে কাঁপুনি ধরে, রক্তনালীগুলো আরও সংকুচিত হয়ে যায়, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গে আরও বেশি রক্ত সঞ্চালন করে এবং শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। 

এই অতিরিক্ত রক্তপ্রবাহ যখন কিডনিতে সঞ্চালিত হয়, তখন একে বলে ‘ভাস্কোকনস্ট্রিকশন’। কিডনির কাজই হচ্ছে রক্ত থেকে বর্জ্য আলাদা করে ফেলা এবং এই বর্জ্যটাই হচ্ছে প্রস্রাব। শীতকালে যখন কিডনিতে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত রক্ত প্রবাহিত হয়, তখন কিডনিও অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয়।

অর্থাৎ, সে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বর্জ্য উৎপাদন করে। এ কারণেই আমাদেরও ঘন ঘন বাথরুমে যেতে হয়। ব্লাডার (প্রস্রাবের থলি) পরিপূর্ণ থাকলে শরীর তাপমাত্রা হারাতে থাকে। তাই শরীরকে উষ্ণ রাখতে দ্রুত প্রস্রাব করে নেওয়াই ভালো। অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা ও বিভিন্ন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয় এবং ব্লাডারের সঙ্গে সংযুক্ত নার্ভ সিস্টেমের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। যার ফলে এই রকম পরিস্থিতিতে মানুষ অনেক সময় স্ট্রেস অনুভব করতে পারে। 

শীতকালে ঘন ঘন বাথরুমে যেতে হয় বলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বরং অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে আমাদের শরীর এভাবেই আমাদেরকে সুরক্ষিত রাখে। তাই এটি অবশ্যই শরীরের জন্য ভালো। তবে অতিরিক্ত প্রস্রাব কিন্তু আবার হাইপোথার্মিয়ার লক্ষণও হতে পারে। এইরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। শীতকালে ঘন ঘন বাথরুমে যেতে না চাইলে নিজেকে সবসময় উষ্ণ আবহাওয়ায় রাখুন অথবা বেশি বেশি শারীরিক পরিশ্রম করুন। 

ক্রেডিট: মিজানুর রহমান (ইয়ার্কি)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+9 টি ভোট
1 উত্তর 262 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
2 টি উত্তর 808 বার দেখা হয়েছে
17 জানুয়ারি 2021 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Abu Reza (10,660 পয়েন্ট)
+9 টি ভোট
1 উত্তর 2,752 বার দেখা হয়েছে
13 সেপ্টেম্বর 2020 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৫ (123,400 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 853 বার দেখা হয়েছে
25 ফেব্রুয়ারি 2021 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
+12 টি ভোট
5 টি উত্তর 1,655 বার দেখা হয়েছে

10,837 টি প্রশ্ন

18,539 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

843,361 জন সদস্য

58 জন অনলাইনে রয়েছে
4 জন সদস্য এবং 54 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. M_Hamza

    200 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    140 পয়েন্ট

  3. daga39to

    100 পয়েন্ট

  4. 28betjpcom

    100 পয়েন্ট

  5. ae888gee

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...