Moniruzzaman Minhaz: কান্না খুব স্বাভাবিক একটি জৈবনিক প্রক্রিয়া। খুব মন খারাপ হলে কিংবা বাধভাঙ্গা আনন্দে আমাদের চোখ বেয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরে। যেমন - স্টেডিয়ামে বসে যখন নিজের কোন ম্যাচ হেরে যাবার মূহুর্তে বিজয়ী হয় তখন আনন্দে আপনা আপনি চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে। অন্যদিকে, শারীরিক, মানসিক কিংবা পারিবারিক দুঃখ কষ্টেও চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে। এটাকে বলা হয় আবেগময় (ইমোশনাল টিয়ার্স) অশ্রু। অশ্রু ঝরার কারন- বিজ্ঞানীদের মতে, অশ্রু সাধারণত অক্ষিগোলকের বাইরের ওপরের অংশে অবস্থিত ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়। গুয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক মার্ক ফেন্সকের মতে, মস্তিষ্কের আবেগপ্রবণ অঞ্চল হাইপোথ্যালামাস ও ব্যাসাল গ্যাংগিলার সঙ্গে ব্রেইন্সটেম-এর (ল্যাক্রিমাল নিউক্লিয়াস যুক্ত থাকে। এগুলো ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ডের সাথে যুক্ত থাকায় আবেগ প্রশমিত করার জন্য মস্তিষ্ক থেকে সংকেত পাঠায়। মানুষের মনে যখন যখন আবেগ উথলে ওঠে তখন ল্যাক্রিমাল গ্রন্থি অশ্রু উৎপাদন করে। উৎপাদিত অশ্রু অক্ষিগোলক ও অক্ষিপটের মাঝে পিচ্ছিল স্তরের সৃষ্টি করে ল্যাক্রিমাল পাংক্টা দিয়ে অপসারিত হয়। অশ্রু ঝরা নিয়ে আরো একটি ব্যাখ্যা আছে। তা হচ্ছে- মানুষ যখন কোনো কিছু নিয়ে হতাশ হয় বা তার মধ্যে তীব্র আবেগ উৎপন্ন হয়, তখন মানুষের মস্তিষ্ক ও শরীর সেটি নিয়ে ওভাররিঅ্যাক্ট করে। এর ফলে মানুষের শরীরের ভেতর নানা রকম রসায়ন আর হরমোন উৎপন্ন হয়। শরীরের সেই অতিরিক্ত রাসায়নিক আর হরমোন নিঃসরণের জন্যই চোখের ভেতর দিয়ে সেটা অশ্রু হিসেবে বেরিয়ে আসে। আর এ রাসায়নিক আর হরমোনগুলো বেরিয়ে যায় বলেই কান্নার পরে মানুষ অনেক হালকা বোধ করে। তবে অতিরিক্ত কাঁদতে যাবেন না মাথা ব্যথা করবে তাতে।