স্মার্টফোনে আসক্তি কমানোর জন্য নিয়মিত কিছু চর্চার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
১. প্রয়োজনীয় কথাবার্তার বাইরে স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নেওয়া। ধরা যাক, রাতের খাবারের পর ১৫ মিনিট।
২. বাড়িতে কিছু ‘স্ক্রিন-মুক্ত এলাকা’ তৈরি করা, যেখানে কেউই স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ইত্যাদি নিয়ে মেতে থাকতে পারবেন না।
৩. স্মার্টফোনে ব্যয় করার সময়টুকু শিশুদের সঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া, শিশুদের সময় দেওয়া।
৪. যেসব কাজ শিগগিরই শেষ করতে হবে, তার একটা তালিকা কাগজে লিখে রাখুন। কাগজটি স্মার্টফোনের সঙ্গে রেখে দিন, যাতে ফোন তুলতে গেলেই ওই কাজের তালিকায় চোখ যায়।
৫. অনলাইনে শেয়ার করতে হবে এমন লেখালেখিগুলো অফলাইন থাকা অবস্থাতেই শেষ করে নিন।
৬. অপ্রয়োজনীয় সব নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন, বিশেষ প্রয়োজন থাকলে ব্যতিক্রমের তালিকা আপডেট করে কেবল তাঁদের নোটিফিকেশনই চালু রাখুন।
৭. নির্দিষ্ট কাজের সময়গুলোর জন্য টাইমার সেট করে রেখে বিরক্তিকর অ্যাপসগুলোর অ্যাকসেস ও নোটিফিকেশন অফ করে রাখুন।
৮. ‘মোমেন্ট’-এর মতো কোনো একটা অ্যাপস ডাউনলোড করে নিন, যা আপনাকে দিনে কতবার ফোন তুলে নিচ্ছেন তা মনে করিয়ে দেবে এবং আপনাকে এই কাজে নিরুৎসাহিত করবে।
৯. আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনাকে ‘একঘেয়ে লাগা’ ও ‘ভালো না লাগা’র মতো অনুভূতিগুলোর সঙ্গেও কিছুটা সময় মানিয়ে চলতে শিখতে হবে, এসবে অভ্যস্ত হতে হবে।
তথ্যসূত্র : ntv